আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার দাবি দুই নারী সংগঠনের

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ ডিজিসহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারী করা গ্রেফতারী পরোয়ানাকে স্বাগত জানিয়েছে পাহাড়ের দুই নারী সংগঠন।
আজ রবিবার (১২ অক্টোবর ২০২৫) পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নীতি চাকমা এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের জারী করা উক্ত গ্রেফতারী পরোয়ানা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে এমন মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
ইন্টারন্যাশন্যাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) এ্যাক্ট ১৯৭৩ এর ৩(২) ধারা অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত গণহত্যা, খুন ও গুমের মতো ঘটনাগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারযোগ্য বলে তারা মন্তব্য করেন এবং অবিলম্বে হিল উইমেন্স ফেডারেশেনের নেত্রী কল্পনা চাকমাকে অপহরণ ও গুমের ঘটনায় লে. ফেরদৌস গংদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করানোর দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে সিস্টেম্যাটিক্যালি সাম্প্রদায়িক হামলা, গণহারে খুন, ভূমি থেকে উচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে, যার কোন বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির গুইমারায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক হামলার সময় পাহাড়িদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যা সংঘটিত করা হয়েছে, যেখানে ৩ পাহাড়ি প্রাণ হারান।
দুই সংগঠনের নেতারা মনে করেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের উচিত পার্বত্য চট্টগ্রামে বহু প্রত্যাশিত শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।