ইউপিডিএফের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী কাল

0


নিজস্ব প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ১৯৯৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় তিন গণসংগঠন (পাহাড়ি গণ পরিষদ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন)-এর যৌথ পার্টি প্রস্তুতি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ইউপিডিএফ প্রতিষ্ঠালাভ করে।

গঠনলগ্ন থেকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে ইউপিডিএফ পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আপোষহীনভাবে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে চাচ্ছে। দীর্ঘ ২৭ বছরের সংগ্রামে ইউপিডিএফের প্রায় ৪ শত নেতা-কর্মী-সর্মথক খুন-গুমের শিকার হয়েছেন। অন্যায় দমন-পীড়নের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাভোগ করতে হয়েছে অসংখ্য নেতা-কর্মীকে। এখনো অনেক নেতা-কর্মী কারাবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। দলটির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও দমন-পীড়ন এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

ইউপিডিএফ হলো পার্বত্য চট্টগ্রামে একমাত্র পার্টি যার নেতাকর্মীরা জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন বাজি রেখে নিরলসভাবে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। ভূমি বেদখল, সাম্প্রদায়িক হামলা, শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সংগ্রামে ইউপিডিএফ সাফল্যের সাথে জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শাসকগোষ্ঠীর জুম্ম ধ্বংসের নীতি বাস্তবায়নের পথে একমাত্র বাধা হলো ইউপিডিএফ। তাই দেশের প্রত্যেকটি সরকার ও সেনাবাহিনী এই বাধা দূর করার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়ে থাকে। জনগণের আন্দোলনকে নেতৃত্বহীন করতেই সেনা শাসকগোষ্ঠী ইউপিডিএফকে ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু ইউপিডিএফের গণ সমর্থনের ভিত্তি অনেক গভীরে প্রোথিত এবং পার্টির নেতাকর্মীরা জনগণের সাথে সুখে-দুঃখে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তাই গত ২৭ বছরে নির্মম দমন-পীড়ন চালিয়েও ইউপিডিএফকে দমন করা যায়নি। শত দমন-পীড়ন ও ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দলটি তার অগ্রযাত্রায় অবিচল রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার ২৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে আগামীকাল (২৬ ডিসেম্বর) ইউপিডিএফ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে দলীয় পতাকা উত্তোলন, অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন, শপথ গ্রহণ, শিশু র‌্যালি, আলোচনা সভা… ইত্যাদি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ইউপিডিএফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে অনলাইন ভিত্তিক একটি পোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‍‍“ইউপিডিএফ-এর নির্দেশিত পথে চলুন, বিজয় অবশ্যম্ভাবী।” 

এছাড়া দেওয়াল লিখন-চিকামারাসহ বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হচ্ছে নানা শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন।




This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More