ইউপিডিএফ সদস্য জীবন ত্রিপুরাকে হত্যার ৩ বছর

0

জীবন ত্রিপুরার মরদেহ। ফাইল ছবি

দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক ইউপিডিএফ সদস্য জীবন ত্রিপুরাকে (২৬) হত্যার ৩ বছর পূর্ণ হলো আজ (১২ জুলাই ২০২৫)। বিগত ২০২২ সালের এই দিনে দীঘিনালা উপজেলার ধনপাদা এলাকা থেকে সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র সদস্য তাকে ঘুম থেকে তুলে নেয়ার পর ঠাণ্ডামাথায় গুলি করে হত্যা করে।

এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ছিল ইউপিডিএফের সাথে হওয়া সমঝোতা লঙ্ঘন করে জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক সংঘটিত হত্যার ঘটনা। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সন্তু গ্রুপ আবারো ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জোরদার করে।

যেভাবে হত্যা করা হয় জীবন ত্রিপুরাকে

ঘটনার দিন ভোররাত তিনটার সময় সন্তু গ্রুপের একদল সশস্ত্র সদস্য দীঘিনালার ধনপাদা বটতুলি গ্রামের উপেন্দ্র চাকমা’র বাড়িতে হানা দেয় এবং সেখানে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা ইউপিডিএফ সদস্য জীবন ত্রিপুরাকে ধরে ফেলে। পরে সকাল ১০ টার দিকে তারা জীবন ত্রিপুরাকে পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় পাকুজ্জেছড়িতে মাথায় গুলি করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।

জীবন ত্রিপুরার বাড়ি রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলায়। দীঘিনালায় খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারে নিযুক্ত থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালে ইউপিডিএফে যোগ দেন এবং ধনপাদা এলাকায় গণসংযোগ দায়িত্বে নিযুক্ত হন। তার আগে খাগড়াছড়িতে ২০১৬ সালে ইউপিডিএফ কর্তৃক সংগঠিত আলুটিলায় উন্নয়নের নামে পাহাড়িদের ৭০০ একর ভূমি বেদখলের প্রতিবাদ কর্মসূচি মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৪-১৬ সাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ি মিলনপুরস্থ গসপেল ফর এশিয়া মিশনারিতে ধর্মীয় তত্ত্ব শিক্ষাগ্রহণ করেন।

জীবন ত্রিপুরাকে হত্যার প্রতিবাদে এবং ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের দাবিতে সে সময় দীঘিনালসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়। কিন্তু হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্তু গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। 



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More