নবম পর্ব

ইউরোপের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলসমূহ

0

।। উবাই মারমা ।।
ইউরোপের কয়েকটি দেশের স্বায়ত্তশাসিত এলাকা সম্পর্কে এখানে ধারাবাহিকভাবে যে আলোচনা করা হচ্ছে আজকে তার নবম পর্বে মলদোভার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্যাগজিয়া (Gagauzia, Moldova’s autonomous region)

নবম পর্ব:
গ্যাগজিয়া, মলদোভার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল
মলদোভার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্যাগজিয়ার আয়তন ১,৮৩১.৫ বর্গকিলোমিটার, যা দেশটির মোট আয়তনের ৫.৪ শতাংশ। এর ১,৭২,০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে (২০০১ সালের গণনা) ৭৪.৭ শতাংশ গ্যাগজিয়ান, ৫.৫ শতাংশ বুলগেরিয়ান, ৫.৪ শতাংশ মলদোভিয়ান, ৫ শতাংশ রাশিয়ান, ৪ শতাংশ ইউক্রেনিয়ান এবং ১.৩ শতাংশ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির লোক। তারা চার ধরনের গোঁড়া খৃষ্টান ধর্ম পালন করে থাকে: যেমন গোঁড়া মলদোভিয়ান চার্চ, গোঁড়া ইউক্রেনিয়ান, রাশিয়ান ও গ্যাগজিয়ান চার্চ। পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত প্রজাতন্ত্রী মলদোভা একটি বহুজাতিক রাষ্ট্র, যা অসংখ্য জাতিগত দ্বন্দ্ব সংঘাতের মুখোমুখি হয়েছে। গ্যাগজিয়ান জনগণ তুর্কি জাতি ও ভাষার অন্তর্ভুক্ত, তারা ১৮ শতকে বলকান অঞ্চলে রাশিয়া ও তুর্কির মধ্যে নিরন্তরভাবে চলা যুদ্ধের কারণে এখানে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। বর্তমানে তুর্কিদের মধ্যে একমাত্র গ্যাগজিয়ানরা এবং রাশিয়ায় বসবাসরত চুভাসরাই (Chuvash) হলো খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী। গ্যাগজিয়ানরা বুলগেরিয়ায় কয়েক শতাব্দী ধরে বসবাসকালে গোঁড়া খৃষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হন। বর্তমানে মলদোভা নামে যে দেশটি চিহ্নিত তা এক সময় রাশিয়া তার সাম্রাজ্যের সাথে অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছিল। সে সময় এ অঞ্চলের সব মুসলমান জনগোষ্ঠীকে সেখান থেকে চলে যেতে হয়েছিল। অন্যদিকে রাশিয়া তার প্রতিবেশী দেশের লোকজনকে কর ও সামরিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি এবং জমির প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে বসতিস্থাপনের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। মুসলমানদের বিতাড়নের ফলে যে শুণ্যতা সৃষ্টি হয় গ্যাগজিয়ানরা তা পূরণ করে। গ্যাগজিয়ানদের ভাষা তুর্কি, তবে তারা গোঁড়া খৃষ্ট ধর্মে বিশ্বাসী।

map-gagauzia

ট্রান্সনিষ্ট্রিয়া (Transnistria) অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত রাশিয়ান সংখ্যালঘুদের সাথে কেন্দ্রীয় মলদোভা সরকারের মধ্যে চলা সংঘাতের মীমাংসা এখনো পর্যন্ত না হলেও, মলদোভা সরকার আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের মাধ্যমে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা গ্যাগজিয়ানদের সাথে একটি স্থায়ী সমঝোতায় উপনীত হয়েছে। মলদোভার জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশই হলো বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি। ১৯৯১ সালের আগস্ট মাসে মলদোভা স্বাধীনতা লাভ করার পর গ্যাগজিয়ানদের মধ্যে এই আশঙ্কা দেখা দেয় যে, মলদোভার জাতীয়তাবাদীরা হয়তো রুমানিয়ার সাথে দেশটির পুনঃসংযুক্তি চাইবে। কেবল ট্রান্সনিষ্ট্রিয়া নয়, দক্ষিণ গ্যাগজিয়ার পাহাড়ি এলাকায়ও উত্তেজনা দেখা দেয় এবং গ্যাগজিয়ানরা একটি সাধারণ গণ ফ্রন্ট গঠন করেন। নবগঠিত প্রজাতান্ত্রিক মলদোভা মলদোভীয় ভাষাকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী ভাষা আইন অনুমোদন করলে, গ্যাগজিয়ানরা তাদের এলাকার রাজধানী কমরাটে (Comrat) তাদের নিজস্ব সোভিয়েট রিপাবলিক ঘোষণা করে। বহু পর্যবেক্ষক এ অবস্থা দেখে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সাথে মলদোভা রাষ্ট্রের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখতে পান। তবে উভয় পক্ষ অর্থাৎ গ্যাগজিয়ান নেতৃত্ব এবং মলদোভার সদ্য স্বাধীন দেশের সরকার  পারস্পরিক সমঝোতায় পৌঁছার লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু করতে একমত হন।

১৯৯৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর মলদোভার সংসদ দীর্ঘ বিতর্কের পর ‘মলদোভা প্রজাতন্ত্রে গ্যাগজিয়ার বিশেষ আইনগত মর্যাদা সম্পর্কিত আইন’ [Act on the Special Juridical status of Gagauzia (Gagauz Yeri) in the Republic of Moldova]  অনুমোদন করে। আইনটির মূল বিশেষত্ব হলো গ্যাগজিয়াকে একটি স্বায়ত্তশাসিত আঞ্চলিক ইউনিট হিসেবে গঠন করে গ্যাগজিয়াবাসীদেরকে অভ্যন্তরীণ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রদান করা। এই আইনের ভিত্তিতে ১৯৯৫ সালের মার্চ মাসে দক্ষিণ মলদোভার যে সব অঞ্চলে গ্যাগজিয়ানদের বসবাস সে সব অঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গণভোটের বিষয় ছিল তারা নতুন গঠিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সাথে যুক্ত হতে চান, নাকি চান না। ৩০টি মিউনিসিপ্যালিটি যুক্ত হওয়ার পক্ষে রায় দেয়।

১৯৯৪ সালের স্বায়ত্তশাসন আইন অনুসারে গ্যাগজ ইয়েরি সেই সব অঞ্চল নিয়ে গঠিত যেখানে গ্যাগজ জাতির লোকসংখ্যার অনুপাত ৫০ শতাংশের বেশী। যেখানে এই সংখ্যা ৫০ শতাংশের কম সেখানে স্থানীয়ভাবে গণভোট অনুষ্ঠিত হয় এই মিউনিসিপ্যালিটিগুলো স্বায়ত্তশাসিত এলাকার সাথে অন্তর্ভুক্ত হতে আগ্রহী কীনা এই প্রশ্নে।

গ্যাগজ ইয়েরি সংসদকে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সংসদ সদস্যরা জনগণ কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত হন। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের যে সব বিষয়ে ক্ষমতা রয়েছে সেগুলোর প্রধান কয়েকটি হলো শিক্ষা, সংস্কৃতি, স্থানীয় উন্নয়ন, বাজেট ও কর, সামাজিক নিরাপত্তা এবং নগর উন্নয়ন ও পরিবেশ। অধিকন্তু গ্যাগজ সংসদ মলদোভার অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখতে পারে এবং জাতীয় পর্যায়ে গৃহীত আইনের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারে, যদি উক্ত আইন গ্যাগজিয়ানদের এক্তিয়ারের উপর হস্তক্ষেপ করে। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের নির্বাহী প্রধান হলেন একজন গভর্ণর, যিনি চার বছর মেয়াদের জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি স্বাভাবিকভাবে (by definition) প্রজাতান্ত্রিক মলদোভা সরকারের একজন সদস্য। গ্যাগজ সরকারের সদস্যরা গ্যাগজ সংসদ কর্তৃক নিযুক্ত হন।

বিচার বিভাগ সম্পর্কে বলা যায়, কোর্ট অব গ্যাগজিয়া হলো স্থানীয় বিচারিক জেলাসমূহের আপীল আদালত। এর বিচারকরা গ্যাগজ ইয়েরির প্রস্তাবের ভিত্তিতে মলদোভার প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত হন। কোর্ট অব গ্যাগজিয়ার প্রধান বিচারক স্বাভাবিকভাবে (নু ফবভরহরঃরড়হ) মলদোভার সুপ্রীম কোর্টের সদস্য। গ্যাগজ ইয়েরির এ্যাটর্নিদের দপ্তরের ক্ষেত্রেও একই ধরনের দায়িত্ব বণ্টন লক্ষ্য করা যায়। গ্যাগজিয়ানদের দৃষ্টিতে দেখলে, ‘স্বায়ত্তশাসন আইনে’ দু’টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। প্রথমত: গ্যাগজিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে (গ্যাগজ ইয়েরি) বসবাসরত গ্যাগজিয়া জনগণকে সংজ্ঞায়িত করার বিষয়টি। গ্যাগজিয়ানদের কেবলমাত্র ‘সংখ্যালঘু’ বা ‘এথনিক গ্রুপ’ বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি, তাদেরকে জাতি (a people) হিসেবেও আখ্যা দেয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত: গ্যাগজিয়ানদের ধারণা ছিল যে তাদের অঞ্চলটি প্রতিবেশী রুমানিয়ার সাথে আবার সংযুক্ত করা হতে পারে, যেভাবে ইতিপূর্বে ১৯১৪-২০ এবং ১৯৪১-৪৪ সালের সময়কালে করা হয়েছিল। স্বায়ত্তশাসন আইনটি গ্যাগজিয়ানদের এই ঐতিহাসিক উদ্বেগকে বিবেচনায় নেয়। এই আইনে বলা হয়: In the case of changing the status of the Republic of Moldova as an independent state, the people of Gagauzia has the right to external self-determination. (স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রজাতান্ত্রিক মলদোভার মর্যাদার পরিবর্তন হলে, গ্যাগজিয়া জনগণের বহির্মুখী আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার থাকবে)। এর অর্থ হলো তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়ে তাদের নিজস্ব রাষ্ট্র গঠন করতে পারবে।

গ্যাগজিয়া একটি নির্বাচিত সংসদ এবং একজন গভর্ণর দ্বারা শাসিত হয়ে থাকে। গভর্ণর ১৯৯৫ সালের জুনে প্রথম বারের মতো নির্বাচিত হন। গ্যাগজিয়ার নিজস্ব একটি সংবিধান রয়েছে, যা ১৯৯৮ সাল থেকে বলবৎ আছে। রাশিয়ান ও মলদোভিয়ান (রুমানিয়ান) এর পাশাপাশি গ্যাগজিয়ানও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সরকারী ভাষা হিসেবে স্বীকৃত। স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের এলাকাগুলো পরস্পর লাগোয়া নয়, অনেকটা ছড়ানের ছিটানো। এই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে রাজধানী কমরাটের চারদিকের মূল এলাকা, চিয়াদির লুঙ্গা, ভুলকানেস্টি (Vulcanesti) শহরের চারদিকের তিনটি এনক্লেভ (enclave) এবং দুটি গ্রাম কপচিএক (Copceac) এবং ক্যাবোলিয়া (Carbolia)। ভৌগলিক অঞ্চলগত স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার ফলে গ্যাগজ জনগণ এবং মলদোভার রাজধানী চিসিনাউতে (Chisinau) অবস্থিত কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে চলা নিষ্ঠুর সংঘাতের অবসান ঘটেছে। ১৯৯০ সালের অক্টোবরে এবং ১৯৯১ সালের আগস্টে এই সংঘাত একটি পরিপূর্ণ স্থানীয় যুদ্ধে রূপান্তরিত হওয়ার অবস্থায় ছিল। এই স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে অর্জিত সমাধান মলদোভার দ্বিতীয় জাতিগত সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল ট্রান্সনিষ্ট্রিয়ায় উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। ১৯৯২ সালের গ্রীষ্মকালে মলদোভার সরকারী বাহিনী ও ট্রান্সনিষ্ট্রিয়ার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত যুদ্ধ বেঁধেছিল। এতে এক হাজার লোক ক্ষতির শিকার হন এবং এক লক্ষ মানুষ অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুতে পরিণত হন। আজ পর্যন্ত (২০০৫ সাল) সেখানে সংঘাতের কোন সুনির্দিষ্ট সমাধান পাওয়া যায়নি।

গ্যাগজিয়ান স্বায়ত্তশাসন সম্পর্কে কিছু সমালোচনাও রয়েছে। যেমন কেন্দ্রীয় সরকার এবং গ্যাগজিয়ান স্বায়ত্তশাসিত সরকারের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টি অসম্পূর্ণ থেকে গেছে এবং কেন্দ্রীয় লেভেলে গ্যাগজিয়ার প্রতিনিধিত্ব দুর্বল। তারপরও মলদোভার রাজনৈতিক শক্তিগুলো স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে প্রাপ্ত সমাধানকে একটি সাফল্য বলে মনে করে। গ্যাগজিয়ায় অ-গ্যাগজিয়ান জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পর্যন্ত বর্তমান গ্যাগজিয়ার স্বায়ত্তশাসন আইনের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন না।

মলদোভার ভাষা সংক্রান্ত আইন মোতাবেক স্বায়ত্তশাসিত এলাকার বাইরে রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, সংবাদ মাধ্যম ও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য অবশ্যই তিন ভাষা মলদোভিয়ান রুমানিয়ান ও গ্যাগজিয়ানে পূর্ণ দক্ষতা থাকতে হয়। সে কারণে আশ্চার্য হওয়ার কিছু নেই যখন মলদোভার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বুলগেরিয়ান সংখ্যালঘুরা আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবি তোলে।

মলদোভার গ্যাগজ ইয়েরির স্বায়ত্তশাসন মধ্য ও পূর্ব ইউরোপের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কারণ ১৯৯০ সালের পর কমিউনিস্ট-পরবর্তী রাষ্ট্রসমূহে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। পূর্বে রাষ্ট্রীয় নীতিতে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি ছিল একটি গৌন ব্যাপার। আর নতুন রাষ্ট্র গঠনের পর আত্মীকরণের রাজনীতি (politics of assimilation) সংঘাতের জন্ম দেয়। ফলে একটি বিশাল সংখ্যক সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে যথেষ্ট হতাশার সৃষ্টি হয় এবং তারা দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা বোধ করতে থাকে। সংখ্যালঘুদেরকে সমান অংশীদারে উন্নীত করতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে স্বায়ত্তশাসনকে তখন রাষ্ট্রীয় অখ-তার প্রতি আক্রমণ বলে প্রায়শ মনে করা হতো এবং এখনো মনে করা হয়। সে কারণে গ্যাগজিয়ার সমাধানকে ভৌগলিক অঞ্চলগত স্বায়ত্তশাসন ও সংখ্যালঘুদের সমষ্ঠিগত অধিকার – এই দুইয়ের দৃষ্টান্ত বলা যায়।

সূত্র:
১. The Working Autonomies in Europe by Thomus  Benedikter.
——————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

 

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More