কল্পনা চাকমার অপহরণ ও গুমের সাথে জড়িতদের দায়মুক্তি দেয়া চলবে না- জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ১২ জুন ২০২৪
হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কল্পনা চাকমা অপহরণ ও গুমের ২৮তম বার্ষিকীতে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ জুন ২০২৪) বিকেল ৫টায় জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাঙলাদেশ লেখক শিবির সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদস্য রূপসী চাকমা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সহ- সভাপতি দীপা মল্লিক। সমাবেশ পরিচালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।
সভাপতির বক্তব্যে ফয়জুল হাকিম বলেন, সরকার কল্পনা চাকমা অপহরণ ও গুমের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দেয়ার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। এই চক্রান্তকে চূর্ণ করতে রাজপথে প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
ফয়জুল হাকিম বলেন, ১৯৯৬ সালের ১১ জুন দিবাগত রাত ১:৩০টার সময় কল্পনা চাকমাকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ ও গুম করা হয়। অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত তৎকালীন চাকুরিরত লে. ফেরদৌস, ভিডিপি প্লাটুন কমান্ডার সালেহ আহম্মেদ ও নূরুল হকের বিরুদ্ধে বিগত ২৮ বছরে কোনো সরকারই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বিচার করেনি কেন এর জবাব দিতে হবে।
ঢাকার মিরনজিল্লা কলোনী হতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের উচ্ছেদ করার ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
জালিয়াতির নির্বাচনে গঠিত সরকারের পতন ঘটাতে তিনি শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের প্রতি সংগঠন জোরদার করার আহবান জানান।
কাজী ইকবাল বলেন, গত ১৫ বছরে বিরোধী রাজনৈতিক দলের শত শত নেতা কর্মীকে গুম করে সরকার দেশে এক ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাই এ দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো ২৮ বছরে যখন কল্পনা চাকমা অপহরণ ও গুমের সাথে জড়িতদের খুঁজে পায় না তাতে অবাক হবার কিছু নেই।

জিকো ত্রিপুরা নিম্ন আদালতে কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলা খারিজ হবার ঘটনা প্রত্যাখ্যান করে বলেন, জনতার আদালতে একদিন লে. ফেরদৌস,ছালেহ আহমেদ ও নূরুল হকের বিচার হবে। তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে ছাত্রী তনু হত্যার বিচার আজও হয়নি।
রূপসী চাকমা বলেন, শুধু কল্পনা চাকমা নয়, রাজনৈতিকভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিসত্তার জনগণের প্রতিরোধ সংগ্রামকে নিশ্চিহ্ন করতে টার্গেট করে নেতৃত্ব শুন্য করার চক্রান্ত চলছে। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাহাড়ি জাতিসত্তার জনগণকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে সেখানে সমতলের ভূমিহীন মানুষদের বসতি স্থাপন করে যে ভয়ংকর চক্রান্তে সরকার লিপ্ত আছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
দীপা মল্লিক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমির উপর জাতিসত্তার জনগণের বংশপরম্পরা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে অবিলম্বে অলিখিত সেনাশাসন প্রত্যাহার করতে হবে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।