কাউখালীতে কলমপতি গণহত্যা দিবসে স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন

0

কাউখালি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

রাঙামাটির কাউখালিতে কলমপতি গণহত্যার ৪৫ বছর উপলক্ষে স্মরণসভা ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি পালন করেছে অগ্রণী শিশু কিশোর কেন্দ্র (এসিসি), কাউখালি উপজেলা শাখা।

আজ ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মসূচির ব্যানার শ্লোগান ছিল “দেশে আশঙ্কাজনক হারে খুন-ধর্ষণ ও নারী-শিশুর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা-সেটলার কর্তৃক সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশ ও খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাও”।

স্মরণসভা শুরুতে কলমপতিসহ পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সেনা-সেটেলার কর্তৃক সংঘটিত ডজনের অধিক গণহত্যায় নিহতদের সম্মান জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় কলেজ ছাত্র হিমেল চাকমার সভাপতিত্বে ও দশম শ্রেণির ছাত্রী সোনালিকা চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন স্কুল শিক্ষার্থী সোহেল চাকমা, শিখা চাকমা, সুইহ্লামং মার্মা। এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর প্রতিনিধি তুজিম চাকমা।

বক্তারা বলেন, আজ ২৫ মার্চ কলমপতি গণহত্যার ৪৫ বছর পূর্ণ হলেও এ ঘটনার আজো বিচার হয়নি। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধু কাউখালীর কলমপতি গণহত্যা নয়, আমরা জানি দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে পাহাড়িদের উপর রাষ্ট্রীয় মদদে সেনা-সেটলার কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে ডজনের অধিক গণহত্যা চালানো হয়েছে। এসব ঘটনায় শত শত মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, মা-বোনের ইজ্জ্জত কেড়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এ রাষ্ট্র ও এদেশের সরকার এসব কোন ঘটনারই শ্বেতপত্র প্রকাশ ও বিচার করেনি।

তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সরকার পরিবর্তন হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন-পীড়ন কমেনি। তাই আমাদের ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং অতীতের নানা ইতিহাস জানতে হবে।

বক্তারা বলেন, যতদিন পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বেঁচে থাকবে ততদিন পাহাড়িদের ওপর সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে যাবে। কোনভাবেই পাহাড়ের ন্যায্য আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত সকল গণহত্যার শ্বেতপত্র প্রকাশপূর্বক খুনীদের আইনের আওতায় এনে বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার দাবি জানান।

স্মরণসভা শেষে কলমপতিসহ পার্বত্য সংঘটিত ডজনের অধিক গণহত্যায় নিহতদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More