কাউখালীর কলাবনিয়ায় ব্যাপক সেনা অভিযান, আটকের পর এক ব্যক্তির খোঁজ মিলছে না

0


কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার ২নং ফটিকছড়ি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কলাবনিয়া গ্রামে সেনাবাহিনীর ব্যাপক অভিযানের খবর পাওয়া গেছে। অভিযানকালে সেনারা রাজন চাকমা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেলেও তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাঙামাটির ঘাগড়া চাম্পাতলী আর্মি ক্যাম্প থেকে ৮০ জনের একদল সেনা সদস্য ন’ভাঙা গ্রামে যায়। সেখানে রাত যাপন করে পরদিন (২৪ ডিসেম্বর) ভোর ৪টার দিকে সেনারা কলাবনিয়া গ্রামে যায়।

তারা কলাবনিয়া স্কুলে অবস্থানকালে সেদিন আনুমানিক দুপুরের সময় কলাবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাজন চাকমা, পিতা-শান্তি কুমার চাকমাকে আটক করে। সে সময় রাজন চাকমা ছড়ায় স্নান করতে গিয়েছিলেন।

রাজন চাকমা পরিবার-পরিজন নিয়ে বর্মাছড়ি বাজার এলাকায় বসবাস করেন। তিনি বাগান-বাগিচা দেখতে গ্রামের বাড়ি কলাবনিয়ায় যান।

তার এক প্রতিবেশী বলেন, সেনাদের সাথে রাজন চাকমাকে কথা বলতে শুনেছি। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ছেলের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে রাজন চাকমার মা মিলনা দেবী চাকমা আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে বর্মাছড়ি হতে গ্রামের বাড়ি কলাবনিয়া চলে যান। সেখানে অবস্থানরত জনৈক সুবেদারে সাথে দেখা করে ছেলের খোঁজ নেন। সে সময় ওই সুবেদার রাজনের বায়োডাটা লিপিবদ্ধ করে কাউখালী থানায় খোঁজ নিতে বলেন।

এই রিপোর্ট লেখার সময় কাউখালী থানায় খোঁজ নিলে থানায় ডিউটিরত অফিসার রাজনের আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এছাড়াও সেদিন সেনারা বিদর্শ চাকমা (২৮), পিতা- মেরু চাকমা’র বাড়ির দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে সংগৃহিত কাঁচা তরিতরকারী, চাউল, হাঁড়ি-পাতিল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সেনাদের সাথে ৪ জন ঠ্যাঙাড়ে (মুখোশ) সদস্যকে দেখা গেছে বলে গ্রামবাসীরা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

অপরদিকে, খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলাধীন ৩নং বর্মাছড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত উল্টাছড়িতে আজ (২৫ ডিসেম্বর) লক্ষীছড়ি জোন হতে প্রায় ৭০ জনের একটি সেনা দল অপারেশনে গেছে বলে জানা গেছে। সেনারা বর্তমানে উল্টাছড়ি গ্রামে নির্মিত বৌদ্ধ বিহারের জায়গায় অবস্থান করছে। সেনাদের বিহারে অবস্থানের কারণে  সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এছাড়া বর্মাছড়ি বাজারের পাশে শান্তি কুমার চাকমার লিচু বাগানেও সেনা বাহিনীর ৪০ জনের একটি দল দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More