কাউখালীর নভাঙ্গায় খেলার মাঠ দখল করে হেলিপ্যাড নির্মাণের পাঁয়তারা

0

কাউখালী প্রতিনিধি ।। রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার নভাঙ্গায় সেনাবাহিনী কর্তৃক খেলার মাঠ দখল করে হেলিপ্যাড নির্মাণের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিলম্বে পাওয়া খবরে জানা যায়, গত ১২ জুলাই ২০২১ সোমবার স্থানীয় নভাঙ্গা-দোবাকায় স্থাপিত সেনা ক্যাম্প থেকে একদল সেনা সদস্য নভাঙ্গা খেলার মাঠে গিয়ে হেলিপ্যাডের জন্য সীমানা চিহ্ন (ইংরেজী ‘H’ চিহ্ন) দিয়ে আসে। তারা এটি পাকা করার জন্য সিমেন্ট-বালুর ব্যবস্থা করবে বলে এলাকাবাসীকে বলে যায়।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে মাঠটি যেখানে অবস্থিত সেখানে আগে কোন খেলার মাঠ ছিল না। মাঠের পরিবর্তে ছিল ঝিড়ি, বাঁশ বাগান ও কড়ই বাগান। এলাকায় শিশু-কিশোর ও যুবকদের খেলাধুলার জন্য কোন মাঠ না থাকায় নভাঙ্গা, তোনহিয়ে ও দোবাকাবা এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে নিজেদের অর্থ দিয়ে ২০১১ সালে মাঠটি নির্মাণ করেন। আর মাঠ নির্মাণের জন্য গহিরা চাকমা, আম্বুলি চাকমা, বুদ্ধদেব তালুকদার ও নীলংধন চাকমা নিজেদের জায়গা দান দিয়ে দেন। এখন এই মাঠটিই এলাকার শিশু-কিশোরদের জন্য খেলাধুলা ও চিত্ত বিনোদনের একমাত্র মাঠ।

মাঠটি দখল করে হেলিপ্যাড নির্মাণের প্রতিক্রিয়ায় ভূমি দাতা আম্বলি চাকমা জানান, আমাদের এলাকায় খেলাধুলার জন্য কোন মাঠ না থাকায় শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও চিত্ত বিনোদনের জন্য মাঠ নির্মাণে ভূমি দান করেছিলাম। এখন মাঠটির নিয়ন্ত্রণ যদি সেনাবাহিনী নিয়ে নেয় তাহলে এলাকার শিশু-কিশোররা তাদের মানসিক বিকাশ কীভাবে ঘটাবে? আমরা মাঠটি দখল না করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

আরেক ভূমি দাতা নীলংধন চাকমা জানান, সেনাবাহিনী গত বছর (২২ নভেম্বর ২০২০) যখন ভূমি বেদখল করে দোবাকাবা-নভাঙ্গা সীমানায় ক্যাম্প স্থাপন করে, তখন আমরা এর বিরোধীতা করে সেনা প্রধান বরাবর স্মারকলিপি পেশ, রাঙামাটি সদরে মানববন্ধন করেছিলাম। আমাদের বিরোধীতার মুখে তখন সেনারা আশ্বাস দিয়ে বলেছিল, আমরা অস্থায়ীভাবে এখানে অবস্থান করছি। দুই মাস বাদে চলে যাবো। এখন দেখছি, দু’মাস অনেক আগে পেরিয়ে গেছে। চলে যাবার কোন লক্ষণ নেই। উল্টো খেলার মাঠটিও দখলের পাঁয়তারা করছে। তাদের মতলব মোটেই ভালো নয়।

এলাকাবাসী শিশু, কিশোরদের খেলাধুলার একমাত্র মাঠটি দখল করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More