কুদুকছড়িতে চার সংগঠনের বিক্ষোভ, সাজেকে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নাঈম-এর খুনি ঠ্যাঙাড়েদের গ্রেফতারের দাবি

0

রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

রাঙামাটির সাজেকে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে এবং মো. নাঈম এর খুনি ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার-শাস্তি, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়া, বাঘাইহাট জোন কমাণ্ডার ও বাঘাইছড়ির ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবিতে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৬ জুন ২০২৪) দুপুর ১২ টার সময় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রাঙামাটি জেলা শাখাসমূহ যৌথভাবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে পিসিপি’র রাঙামাটি জেলা সভাপতি তনুময় চাকমার সভাপতিত্বে ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি রিমি চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ধর্মশিং চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা।

সভাপতির বক্তব্যে তনুময় চাকমা বাঘাইহাটের জনগণের বীরত্বপূর্ণ আন্দোলনের প্রতি দৃঢ় সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের তথাকথিত সন্ত্রাসীদের দমনের নামে ব্যাঙের ছাতার মতো সেনা ছাউনি রয়েছে। নিরাপত্তার নাম দিয়ে জনগণের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। অথচ অন্য অনেক ঘটনার মধ্যে বাঘাইহাটের ঘটনাও প্রমাণ করলো সন্ত্রাসী দমনের জন্য নয়, সন্ত্রাসী লালনপালনের নামে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।


তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সেনাবাহিনীর বাঘাইহাট জোনের পাশে কিভাবে সশস্ত্র সন্ত্রাসী অবস্থান করে? বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লে. ক. খায়রুল আমিন যদি কানা না হন তাহলে জোনের পাশে অস্ত্রধারী ঠ্যাঙাাড়ে সন্ত্রাসীদের তিনি দেখতে পাননি কেন?  

তিনি বলেন, মো. নাঈম-এর চিহ্নিত খুনি ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে তাদের রক্ষায় প্রশাসন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করিয়েছে।

তিনি অবিরম্বে ইউপিডিএফ নেতা-কর্মীদের নামে দেয়া মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার করে নাঈমের প্রকৃত খুনি ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়া এবং ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দাতা বাঘাইহাট জোন কমান্ডার লে.ক. খায়রুল আমিন ও বাঘাইছড়ির ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

যুবনেতা ধর্মশিং চাকমা বলেন, গত ১৮ জুন বাঘাইহাটে বিক্ষোভরত জনতার উপর নব্য-মুখোশরা এলোপাতাড়ি ব্রাশ ফায়ার করে নাঈম নামে শান্তি পরিবহনের কর্মচারীকে হত্যা ও ১২ জনকে আহত করে। কিন্তু এখনো খুনি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়নি।

তিনি বলেন, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনে সুর্দশন চাকমাকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য সেনা প্রহরায় ঠ্যাঙাড়েদের বাঘাইহাটে নিয়ে গিয়ে জনগণের ওপর নিপীড়ন-হয়রানি চালানোর কারণে এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা সেদিন সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধে বিক্ষোভ করেছিল। জনগণের এই বিক্ষোভ দমনে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদে সন্ত্রাসীরা জনতার উপর গুলি চালিয়েছিল।

নারী নেত্রী রিতা চাকমা বলেন, সেনাবাহিনীর নাকের ডগায় আন্দোলনকারী সাধারণ জনগণের উপর ব্রাশ ফায়ার করে নাঈমকে হত্যা ও অনেককে আহত করা হয়েছে। সরকার অন্যায়-অত্যাচারের বিচার না করায় প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটে চলেছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More