কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে বিচার বহির্ভুত হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

0

কুমিল্লায় যৌথবাহিনীর হেফাজতে বিচার বহির্ভুত হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের  উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫


রাবি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কুমিল্লায় যৌথ বাহিনীর হাতে আটকের পর নির্যাতনে তৌহিদুল ইসলাম নামে একজনকে বিচার বহির্ভুতভাবে হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতি ফলকের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘বিনা বিচারে হত্যা, মানি না মানবো না’, ‘মিলিটারি মানুষ মারে, ইউনুস সরকার কি করে’, ‘নো মোর মিলেটারি ব্যারাকে যাও তাড়াতাড়ি’, ‘তৌহিদুল মরলো কেন, ইউনুস সরকার জবাব দে’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

সমাবেশে রাবি শাখার ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রাকিব হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক শামীন ত্রিপুরা। এছাড়া সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ খান

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যা হয়েছে। তারপরে একটা রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের মাধ্যমে এই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। কিন্তু এই সরকার আসার পরেও আগের মতোই বিচার বহির্ভূত হত্যা হচ্ছে। অনেক মানুষকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করে ব্যারাকে নিয়ে নির্মমভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সাথে অবিচার করা হচ্ছে। আমরা এসব থেকে বেরিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

সমাবেশ থেকে বক্তারা পাহাড়ে সেনাবাহিনীর শাসন প্রত্যাহার এবং তৌহিদুল ইসলাম হত্যার ঘটনাসহ বিভিন্ন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ করে সেসব ঘটনার বিচারের দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা নিজের বাসা থেকে তৌহিদুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে যায়। পরদিন (শুক্রবার) সেনাবাহিনী তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। এরপর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তি যুবদলের নেতা ছিলেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More