খাগড়াছড়িতে শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতি অঙ্কন কর্মসূচিতে ঠ্যাঙাড়েদের বাধা দেয়ার অভিযোগ

0

গ্রাফিতি অঙ্কনের জন্য রঙের কৌটা। ছবিটি সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন-এর ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহিত।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সেনা মদতপুষ্ট ঠ্যাঙাড়েরা ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’ এর আয়োজিত ‘শহীদ জুনান, রুবেল, ধনরঞ্জন ও অনিকের স্মরণে’ “গ্রাফিতি অঙ্কন” কর্মসূচিতে বাধা ও হুমকি দিয়ে কর্মসূচি বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫) খাগড়াছড়িতে তারা এই কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।

এ ঘটনায় ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ‘সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন’ তাদের ফেসবুক পেইজে একটি বিবৃতি দিয়েছে।

‘এই কর্মসূচির জন্য প্রায় ২১,০০০ টাকার রঙ ও সরঞ্জাম সংগ্রহ’ করার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা অভিযোগ করে বলেছেন, ঠ্যাঙাড়েরা [বিবৃতিতে উল্লেখ ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক)] তাদের চারজন ছাত্র প্রতিনিধিকে ডেকে পাঠিয়ে সরাসরি হুমকি প্রদান করে এবং গ্রাফিতি অংকন না করার নির্দেশ দেয়।

সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন-এর বিবৃতি

বিবৃতিতে তারা আরো বলেছেন ‘শহীদদের স্মরণে আয়োজিত সাংস্কৃতিক ও অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে এমন অগণতান্ত্রিক হস্তক্ষেপ পাহাড়ি জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত।’

তারা ঠ্যাঙাড়েদের [বিবৃতিতে উল্লেখ ইউপিডিএফ(গণতান্ত্রিক)] এই বেআইনি ও কর্তৃত্ববাদী আচরণের তীব্র নিন্দা জানান এবং স্পষ্টভাবে বলেন যে, “শহীদদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও সংগ্রামী চেতনা কোনো হুমকিতে থেমে থাকবে না।”

বিবৃতিতে তারা পাহাড়ি জনগণ, ছাত্র-যুব সমাজ এবং প্রগতিশীল সব শক্তিকে এই অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর তারা ফেসবুক পেইজের এক পোস্টে সকলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, …“এই কর্মসূচি সবার জন্য উন্মুক্ত। যারা আমাদের সাথে এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করতে চান, তাঁদের সবাইকে আন্তরিকভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৯-২০ সেপ্টেম্বর সেটলার কর্তৃক দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি সদর ও রাঙামাটিতে পাহাড়িদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা ও সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে দীঘিনালায় ধনরঞ্জন চাকমা, খাগড়াছড়ি সদরে জুনান চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরা এবং রাঙামাটি শহরে অনিক চাকমাকে হত্যা করা হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More