লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবিতে

খাগড়াছড়িতে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ সফলভাবে পালিত

0

khagrachariখাগড়াছড়ি: লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবিতে উপজেলা চেয়ারম্যান সুপার জ্যোতি চাকমা মুক্তি সংগ্রাম কমিটির আহ্বানে  আজ বুধবার (৪ জানুয়ারি) খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। উক্ত অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সহায়তা করার জন্য কমিটির আহ্বায়ক অংগ্যপ্রু মারমা ও সদস্য সচিব বেবিরানী বসু সংবাদ মাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে খাগড়াছড়ি জেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবরোধ সফল করতে যারা সরাসরি পিকেটিং করেছেন তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং যারা গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। নেতৃবৃন্দ গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদানের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আগামীতে যে কোন ধরণের কর্মসূচিতে সকলের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণের আশা প্রকাশ করেছেন।

নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, লক্ষীছড়ি সদরে সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবি জানিয়ে গতকাল ০৩ জানুয়ারি, ২০১৭ ইং শান্তিপূর্ণ সমাবেশে নির্বিচার হামলা করা হয়েছিল। তার প্রতিবাদে লক্ষীছড়ি এলাকাবাসী অনির্দিষ্টকালের জন্য বাজার বয়কট করার ঘোষনা দিয়েছে। এজন্য আজ লক্ষীছড়ি বাজারে হাটবাজার থাকলেও কেউই বাজারে যায়নি। নেতৃদ্বয় লক্ষীছড়ি জনগণকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান অবরোধ কর্মসূচি সফল করতে সহায়তা করার জন্য।

নেতৃদ্বয় তাদের বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মহালছড়িতে পিকেটারদের নিরাপত্তা বাহিনী ধাওয়া করেছে। সুজশ চাকমা নামে(২৭) একজন যুবককে মহালছড়ির অফিস টিলা এলাকায় মারধর করা হয়েছে। মানিকছড়ির গচ্ছাবিল এলাকায় শান্তিপূর্ণভাবে পিকেটিং করার সময় পিকেটারদের উপর সেটলার নেতা মো. নয়ন ও নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সেটলার হামলা চালিয়েছে। তারা  মানিকছড়ি সদরের দুরছড়ি এলাকায় বক্কে চাকমা(৩০) নামে একজনের বাড়িঘর ভেঙে তছনছ করে দেয়। নেতৃদ্বয় বলেন, আমরা জানতে পেরেছি পিকেটিং করার সময় সকালের দিকে মানিকছড়ি থেকে আরো তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, গচ্ছাবিল এলাকার দোকানদার উজাই মারমা(৩২), পিতাঃ রাম্রাচাই মারমা; সুমন মারমা, পিতাঃ সাচিং মারমা, গ্রাম- গচ্ছাবিল; থুইরি মারমা, পিতা- কংপ্রুচাই মারমা, গ্রাম- বটতলী এই তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়া বিকাল দুইটায় মানিকছড়ির চক্কিবিল পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে ম্রাসাই মারমা নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

নেতৃদ্বয় আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান। তারা বলেন, প্রতিবাদ জানানোর ভাষা হিসেবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করার অধিকার জনগণের রয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চলার পরেও অবরোধকারীসহ সাধারণ জনগণকে গ্রেপ্তার ও হয়রানী করা অগণতান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন।

উক্ত বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, সুপার জ্যোতি চাকমার মুক্তির দাবিতে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আমরা ১২৭ সদস্যের সংগ্রাম কমিটি আগামীতে সভা করে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করব।

নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়ন নির্যাতন বন্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অপারেশন উত্তরণ প্রত্যাহার, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে সরকারের ১১ দফা নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
————-

সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More