খাগড়াছড়িতে ৮ সংগঠনের জাতীয় কনভেনশনে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবনা

0

সিএইচটিনিউজ.কম
পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত  ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউিপডিএফ) এর সহযোগী ৮ গণসংগঠন -এর  ১ম জাতীয় কনভেনশন আজ ৭ আগস্ট ২০১৪  বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে উপস্থিত ৮ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সর্বসম্মতিক্রমে একটি রাজনৈতিক প্রস্তাব গ্রহণ করেন।  প্রস্তাবনায় পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। উক্ত রাজনৈতিক প্রস্তাবনাটি পাঠকদের জন্য নীচে হুবহু প্রকাশ করা হলো:
———————

রাজনৈতিক প্রস্তাবনা
৮ গণসংগঠনের প্রথম জাতীয় কনভেনশন ২০১৪
(গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড)
৭ আগস্ট ২০১৪

 পার্বত্য চট্টগ্রামে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে ৮ গণসংগঠন (গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, সাজেক নারী সমাজ, সাজেক ভূমি রক্ষা কমিটি, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড)-কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই জাতীয় কনভেনশন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন সময়ে এ যাবৎ পার্বত্য চট্টগ্রামে নানা সংগঠন-সংস্থার সভা-সম্মেলন হলেও এটা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, ৮ গণসংগঠন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় কনভেনশন বৈশিষ্ট্যের দিক দিয়ে প্রথম এবং এর রাজনৈতিক গুরুত্বও সুদূরপ্রসারী।

৮ সংগঠনের রাজনৈতিক প্রস্তাব পাঠ করছেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা
৮ সংগঠনের রাজনৈতিক প্রস্তাব পাঠ করছেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন এমন এক সময় আহূত হচ্ছে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র সংখ্যালঘু জাতিসত্তা ও ভিন্ন ভাষাভাষী জনগণের ওপর নানাভাবে আক্রমণ-পাড়ায় হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটপাট, ভূমি বেদখল, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিধি-নিষেধ আরোপ, নারী নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। রাজশাহী-দিনাজপুর-মধুপুর-সিলেট-উখিয়া-টেকনাফসহ যেখানে যেখানে সংখ্যালঘু জনগণের ওপর হামলা নির্যাতন হয়েছে এবং হচ্ছে, জাতীয় কনভেনশন তার প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে সংহতি প্রকাশ করছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী জনগণের ওপর ইসরায়েলের একতরফা বর্বরোচিত হামলারও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে আজকের এই জাতীয় কনভেনশন। কনভেনশন ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে এবং সংহতি প্রকাশ করছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলা বন্ধে বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও মানবাধিকার সংগঠনসমূহকে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখার জন্য এই কনভেনশন থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।

জাতীয় কনভেনশনের পর্যবেক্ষণে এটাও স্পষ্ট যে, নিপীড়ন-নির্যাতন শুধু সংখ্যালঘু জাতিসত্তা ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী অর্থাৎ বাঙালিদের মধ্যে সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষও নানাভাবে শোষণ-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, মানুষের মত সম্মান মর্যাদা পাচ্ছে না। সরকার দলীয় লোক অর্থাৎ বাঙালিদের মধ্যকার সুবিধাভোগী গোষ্ঠীটি দেশের ক্ষমতা-অর্থ সব কিছু কুক্ষিগত করে নিজেদের গোষ্ঠীগত রাজত্ব কায়েম করেছে। যাকে আক্ষরিক অর্থে ফ্যাসিবাদ বলা সঙ্গত, দেশটা বিশেষ দল-গোষ্ঠীর সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতাসীনচক্র দেশে নিজের গোষ্ঠী ও দলীয় লোক ছাড়া অন্য কোন জাতি, ভাষা-ভাষী সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব স্বীকার করে না, অন্যদের মানুষ হিসেবে গণ্য করে না, অধিকার-মর্যাদা দেয় না। সরকারি দল ও তাদের সমর্থক ভিন্ন অন্য দলের নেতা-কর্মী, গণতান্ত্রিক সংগঠনের কর্মী-নির্দলীয় লোকের অধিকারও স্বীকার করতে চায় না, তাদের ওপরও চলছে নানাভাবে হয়রানি। ক্ষমতাসীনচক্র নিজেদের শাসন ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করতে প্রশাসন-পুলিশ বিভাগ-বিচার বিভাগসহ রাষ্ট্রীয় সংস্থা-দপ্তরসমূহ দলীয়করণ করে ফেলেছে। বিভিন্ন স্তরে নিজ দলীয় লোকদের নিযুক্ত রেখেছে। দেশের বর্তমান অসহনীয় পরিস্থিতিতে বাঁচার তাগিদে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণসহ দেশের সাধারণ মানুষের সামনে লড়াই সংগ্রাম ভিন্ন অন্য কোন পথ খোলা নেই। শাসকচক্র জনগণের সংঘবদ্ধ শক্তিকে ভীষণ ভয় পায়, জনগণ যাতে সংগঠিত হতে না পারে সেজন্য নানা কূটকৌশল খাটায়। নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে কিছু লোককে কিনে নিয়ে জনগণকে বিভক্ত ও দুর্বল রেখে অন্যায় জবরদস্তিমূলক শাসন কায়েম রাখে। ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন মনে করে, অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই সফল করার লক্ষ্যে জনগণের সকল শক্তি ঐক্যবদ্ধ ও সংহত করা হচ্ছে সবচে’ জরুরি।

হাত উচিয়ে রাজনৈতিক প্রস্তাবনা পাশ করছেন ৮ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা
হাত উচিয়ে রাজনৈতিক প্রস্তাবনা পাশ করছেন ৮ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন গভীর উদ্বেগের সাথে এটা পরিলক্ষিত করে যে, মানুষের ওপর পরিচালিত নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রকৃত আন্দোলন গড়ে তোলার পরিবর্তে একশ্রেণীর লোক ও সংগঠন নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও দেশের অন্যত্র সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ব্যাপারে কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন লক্ষ্যণীয়ভাবে তৎপর। অথচ তাদের সকল তৎপরতা কেবল মাত্র বছরের নির্দিষ্ট কয়েকটি দিবসে সীমাবদ্ধ। এ সমস্ত সংগঠনগুলো বিশেষ সময়ে বিবৃতি দেয়, পত্রিকার পাতা ভরিয়ে ফেলে, টক শো’তে আড্ডা জমায়, জমকালো কর্মসূচি নিয়ে হাজির হয় এবং পরে তাদের তৎপরতা ঝিমিয়ে পড়ে। এতে জনগণ বিভ্রান্ত ও আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের অন্যত্র সংখ্যালঘু জাতিসত্তাসমূহের ওপর যে সময় সেনা দমন-পীড়ন, ভূমি বেদখলের মহোৎসব চলে, তখন এ ধরনের মৌসুমী আন্দোলনকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পক্ষে দাঁড়ায় না, বিবৃতি দিয়েই দায় খালাস করে। এদের খপ্পড় থেকে অধিকারহারা জনগণকে মুক্ত করা না গেলে সঠিক লাইনে আন্দোলন সংগঠিত করা সহজ নয় বলে ৮গণসংগঠনের কনভেনশন মনে করে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশনে এটি স্পষ্ট যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জনসংহতি সমিতি ও সরকারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি কার্যত ফাইলবন্দী হয়ে রয়েছে। ‘পার্বত্য চুক্তি’র ১৭ বছর হতে চলেছে, সরকার চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান সত্ত্বেও তা বাস্তবায়ন করছে না। নবম সংসদ নির্বাচনে ‘পার্বত্য চুক্তি’ পূর্ণবাস্তবায়নের অঙ্গীকার ছিল আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। অথচ পুরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকেও আওয়ামী লীগ সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করে নি। উল্টো পাহাড়ি জনগণের জাতিসত্তা অস্বীকার করে “বাঙালি”  আরোপ করেছে। সেনা-সেটলার পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের পরিবর্তে সেনা-বিজিবি ক্যাম্প সম্প্রসারণ-নির্মাণের তোড়জোড় চলছে, দীঘিনালার বাবুছড়া-সাজেক-রুমায় ইতিমধ্যে জমি থেকে লোক উচ্ছেদ করা হয়েছে। গোপন সার্কুলার দিয়ে প্রশাসন সাজেকের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে সেটলার পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে। বনায়ন, চা বাগান-রাবার বাগান ইত্যাদির নামে বড় বড় কোম্পানির নিকট জমি লিজ দিয়ে পাহাড়িদের নিজ বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। নাক্ষ্যংছড়ি-রামগড়-মানিকছড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় তা অব্যাহত রয়েছে। খুনী সংস্থা হিসেবে পরিচিত র‌্যাব বিলুপ্তির জন্য সারাদেশের জনগণ সোচ্চার, মানবাধিকার সংস্থাসমূহও বিলুপ্তির দাবি জানাচ্ছে, এ পরিস্থিতিতে সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে গণধিক্কৃত একটি খুনী সংস্থা মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন সরকারের এ ধরনের গণবিরোধী সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছে এবং অনতি বিলম্বে র‌্যাব মোতায়েনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন চুক্তি সাক্ষরকারী পক্ষ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে জনগণের মতামত তোয়াক্কা না করে আওয়ামী লীগের সাথে ১৯৯৭ সালে লিখিত-অলিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হয়ে জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়ার দায়ে অভিযুক্ত করছে এবং তা তার গুরুতর রাজনৈতিক ভুল ও অপরিণাদর্শীতা হিসেবে গণ্য করছে। সন্তু লারমা শাসকগোষ্ঠীর নিকট রাজনৈতিকভাবে বশীভূত হবার পেছনে তার নিজের আদর্শিক বিচ্যুতির সাথে আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ তথাকথিত বামপন্থীমহল দায়ী এবং বর্তমানে এ অংশটি পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জিইয়ে রাখতে সন্তু লারমাকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে বলে কনভেনশন মনে করে। যার জ্বাজ্জল্য দৃষ্টান্ত হচ্ছে, গত ৫ আগস্ট ঢাকায় “বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম” নামক একটি বিশেষ গোষ্ঠী কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন আয়োজন। উক্ত সম্মেলনে পাহাড়ি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়োজিত গণতান্ত্রিক সংগঠন ইউপিডিএফ নির্মূলের ঘোষণা– যা স্পষ্টই ধ্বংসাত্মক, গণতান্ত্রিক রীতি-নীতি বর্জিত শাসকচক্রের নীল নক্সা অনুযায়ী প্রণীত, পাহাড়ি জনগণের প্রতিবাদী শক্তি নিঃশেষ করে দেবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ বলে ৮ গণসংগঠনের নিকট প্রতীয়মান হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে এ ধরনের উস্কানিমূলক ধ্বংসাত্মক ঘোষণা দেবার পরও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা, বিশেষ গোষ্ঠীটির প্রতি সরকার-প্রশাসনের মদদ স্পষ্ট হয়ে পড়ে। ৮গণসংগঠন এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। জাতীয় কনভেনশন পাহাড়ি জনগণের আন্দোলন ধ্বংস করার জন্য মৌসুমী পাহাড়ি দরদী, প্রগতিশীলতার মুখোশধারী রঙ-বেরঙের প্রতিক্রিয়াশীলদের চিনে রেখে সতর্ক থাকতে এবং সঠিক লাইনে আন্দোলন জোরদার করতে ছাত্র-যুব-সর্বস্তরের জনতার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

বিভিন্ন সময়ে সন্তু লারমার ধ্বংসাত্মক জাতীয় স্বার্থবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও ভাড়াটে ঘাতক দিয়ে চন্দ্রশেখর চাকমা (সাবেক জেএসএস সাধারণ সম্পাদক)সহ বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নেতা-কর্মী হত্যার মত ঘৃণ্য কর্মকা-ের তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ভ্রাতৃঘাতি দ্বন্দ্ব সংঘাত জিইয়ে রেখে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করার দায়ে সন্তু লারমাকে অভিযুক্ত করছে। সরকারের বাঁধা খুঁটি আঞ্চলিক পরিষদের গদি আঁকড়ে থেকে অধিকার আদায়ের আন্দোলন পাতানো খেলা ছাড়া কিছু নয়। জনগণের পক্ষে কথা বলতে চাইলে আঞ্চলিক পরিষদের গদি ছেড়ে রাজপথে নামতে ৮গণসংগঠন সন্তু লারমার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮ গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশন তিন পার্বত্য জেলার সাংসদদের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে; এই সাংসদদের জনগণের মুখপাত্র নয়, সরকারের ক্রীড়নক হিসেবে আখ্যায়িত করছে। বিশেষ করে, ২৯৯নং রাঙ্গামাটি আসনের এমপি উষাতন তালুকদারের নিষ্ক্রিয় ভূমিকারও কনভেনশন নিন্দা জানাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের ৮গণসংগঠনের জাতীয় কনভেনশনে এটা প্রতীয়মান হচ্ছে যে, শিক্ষার মূল ভিত্তি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর সংহত না করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন সুফল বয়ে আনবে না। বিশেষত পাহাড়িরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আজকের এই জাতীয় কনভেনশন থেকে সরকারকে এ পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
———

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More