খাগড়াছড়ির বিভিন্ন বিহার-মন্দির-গীর্জায় গুইমারার ৩ শহীদের স্মরণে ও আহতদের আরোগ্য কামনায় ধর্মীয় প্রার্থনা

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫
“শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের” ঘোষিত কর্মসূচি কর্মসূচি অনুযায়ী খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার বিভিন্ন বিহার, মন্দির ও গীর্জায় গত ২৮ সেপ্টেম্বর গুইমারায় সেনা-সেটলার হামলায় শহীদ হওয়া আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমার স্মরণে ও গুরুতর আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় ধর্মীয় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর ২০২৫) বিকাল থেকে সন্ধ্যার সময়ে খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালা শাসন রক্ষিত বৌদ্ধ বিহার, ১২ নাম্বার জনকল্যাণ বৌদ্ধ বিহারে, চেলাছড়া গীর্জা, চেলাছড়া বৌদ্ধ বিহার, সুরেন্দ্র মাষ্টার পাড়া হরি মন্দির, পল্টন জয় পাড়া মন্দির, ২ নাম্বার বৌদ্ধ বিহার, গিরিফুল বৌদ্ধ বিহার, উপালি পাড়া বৌদ্ধ বিহার, শিব মন্দির জনমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মুনিগ্রাম আর্য বৌদ্ধ বিহার, রতনজয় পাড়া শাক্যমনি বৌদ্ধ বিহার, রবিজয় পাড়া ধর্মাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার, নির্মল পাড়া রামকৃষ্ণ মন্দিরে এলাকাবাসী এই ধর্মীয় প্রার্থনার আয়োজন করে।
এ সময় তিন শহীদের সদগতি ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা ও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।




উল্লেখ্য, গত ১৫ অক্টোবর গুইমারায় ‘শহীদ স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ’ কর্তৃক তিন শহীদের সম্মানে আয়োজিত স্মরণসভা থেকে আজকের এই প্রার্থনা’র কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় মারমা কিশোরী ধর্ষণের বিচার ও সকল ধর্ষককে গ্রেফতার-শাস্তির দাবিতে জুম্ম ছাত্র জনতার আহ্বানে গুইমারার রামসু বাজার এলাকায় সড়ক অবরোধ পালনকালে সেনাবাহিনী ও সেটলাররা হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর গুলিতে আখ্র মারমা, আথুইপ্রু মারমা ও থৈইচিং মারমা নিহত হন এবং আরো অনেকে গুরুতর জখম হন। এছাড়া সেটলাররা রামসু বাজার ও আশেপাশের পাহাড়িদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে প্রভুত ক্ষতিসাধন করে। এর আগের দিন (২৭ সেপ্টেম্বর) সেটলার বাঙালিরা খাগড়াছড়ি সদরেও হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
