খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নবীন বরণ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-এর খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ ও খাগড়াছড়ি সরকারী মহিলা কলেজের নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১ আগস্ট সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ি সদরের সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট হল রুমে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার সভাপতি বিপুল চাকমা৷ এতে অন্যান্যের মধ্যে আরোইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি উপজেলা ইউনিটের সমন্বয়ক কালোপ্রিয় চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অংগ্য মারমা, সহ সভাপতি ক্যহ্লাচিং মারমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি আপ্রুসি মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রীনা দেওয়ান, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি রেমিন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক পুতুলি চাকমা, পাহাড়িছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি সদর থানা শাখার সভাপতি সুজেল চাকমা ও মাটিরাঙ্গা কলেজ শাখার সভাপতি অংকন চাকমা৷ এছাড়া নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী নাছিমা আক্তার, পারুলী তালুকদার ও স্মৃতিকণা চাকমা এবং খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের ছাত্রী খৈজনা মারমা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সদস্য সুপ্রিয় চাকমা এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ কমিটির নেতা সুনয়ন চাকমা। অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশ্যে মানপত্র পাঠ করেন খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের ছাত্রী পেরণা চাকমা।
অনুষ্ঠান শুরুতে নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রত্যেককে একটি করে রজনীগন্ধা ফুলের কাঠি দিয়ে বরণ করে নেয়া হয় এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দলীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়৷
বক্তারা নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছাত্ররাই আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যত। ছাত্রদেরকেই জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই সংগ্রামে আগামী দিনের যোগ্য সৈনিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ বহু ভাষা ও বহু জাতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সাংবিধানিকভাবে জোর করে বাঙালি জাতীয়তা চাপিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহের অস্তিত্বকে চিরতরে মুছে দিতে চাইছে৷ এটা কিছুতেই মেনে নেয়া হবে না। এই চাপিয়ে দেয়া বাঙালি জাতীয়তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য বক্তারা ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।
নবীন বরণ অনুষ্ঠান থেকে বক্তারাঅবিলম্বে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সকল সংখ্যালঘু জাতিসমূহকে নিজ নিজ জাতিগত পরিচয়ে স্বীকৃতি, নিজস্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার নিশ্চিত করা ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণার দাবি জানান।