খাগড়াছড়িতে সবিতা চাকমাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নিন্দা ও প্রতিবাদ
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটিনিউজ.কম
 খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়িতে গতকাল শনিবার দেব রতন চাকমার স্ত্রী সবিতা চাকমাকে(৩০) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার কমলছড়িতে গতকাল শনিবার দেব রতন চাকমার স্ত্রী সবিতা চাকমাকে(৩০) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় হিল উইমেন্স ফেডারেশন  তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ ১৬ ফেব্রুয়ারী রবিবার হিল উইমেন্স ফেডারেশনে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রিনা চাকমার স্বাক্ষরিত সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক রীনা দেওয়ান এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, গতকাল শনিবার সকালে নিজ বাড়ির পার্শ্ববর্তী কমলছড়ি ঘাটপাড় এলাকায় পালিত গরুর জন্য ঘাস আনতে গেলে দুর্বত্তরা সবিতা চাকমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। বিকেল ৩টার দিকে গ্রামবাসীরা তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অভিযোগ করে বলেন, যেখানে সবিতা চাকমা গরুর জন্য ঘাস কাটছিলেন তার পার্শ্ববর্তী চেঙ্গী নদী থেকে বালু বহনকারী একটি ট্রাক্টর নষ্ট হওয়ার উছিলায় সেখানে থামায়। এ সময় একা পেয়ে ঐ ট্রাক্টরে থাকা সেটলার বাঙালিরা (চালক, হেলপার ও শ্রমিকরা) সবিতা চাকমাকে ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।
বিবৃতিতে তারা বলেন, দিন-দুপুরে এভাবে একজন অসহায় নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। পাহাড়ি নারীদের নিরাপত্তা আজ চরমভাবে বিঘ্নিত। ঘরে-বাইরে তারা কোন জায়গায় আর নিরাপদ নয়। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি না হওয়ার কারণে এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটেই চলেছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় অবিলম্বে সবিতা চাকমাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নারীদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা একই দিন(শনিবার) বিকেলে গুইমারা থেকে বাসে করে ঠাকুরছড়ায় নিজ বাড়িতে আসার পথে এক ‘হুজুর’ কর্তৃক পাহাড়ি কিশোরীর শ্লীলতাহানির ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানান।
এ ঘটনায় ভিকটিম কিশোরী রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ না করে ‘মীমাংসার’ নামে হুজুরকে রক্ষা করেছে অভিযোগ করে নেতৃদ্বয় এ নিয়ে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকারও তীব্র সমালোচনা করেন।
