খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে পাহাড়ি নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকায় তিন সংগঠনের বিক্ষোভ

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিএইচটিনিউজ.কম
IMG_20140308_155856ঢাকা : পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী নির্যাতন ধর্ষণসহ সকল প্রকার সহিংসতা রোধ, সর্বোপরি পাহাড়িদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পূর্বশর্ত সেনা-সেটলার প্রত্যাহার, খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে পাহাড়ি নারী ধর্ষণকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ৮ মার্চ শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটায় পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন গণতান্ত্রিক সংগঠন গণতান্ত্রিকযুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নিরূপা চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান।

সমাবেশে সাদিয়া আরমান তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ CEDAW (Convention for the Elimination of all kinds of Discrimination against Women)-এ স্বাক্ষরকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি। কিন্তু রাস্ট্র এ সনদ বাস্তবায়ন করছেনা। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে বন্ধ করা রজন্য পদক্ষেপও নিচ্ছেনা। রাস্ট্র CEDAW সনদসহ বাংলাদেশের সংবিধানের অনেক ধারাই ভঙ্গ করে চলেছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে রাস্ট্রের তার দায়িত্ব পালন করতে পারছেনা। ধর্ষণের ঘটনা ঘটে গেলে প্রশাসন অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে তার সাথে হাত মিলাচ্ছে এবং রক্ষা করছে। এভাবে রাস্ট্র নিজেই অপরাধী হচ্ছে এবং ধর্ষণের দায় নিচ্ছে। তাই যেসব এলাকায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটে সেখানকার স্থানীয়পুলিশ স্টেশন ঘেরাও করতে হবে। প্রয়োজনে ওসি’কে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। তা করতে না পারলে ধর্ষণের নিকৃষ্ট ঘটনাগুলো ঠেকানো যাবেনা।

সমাবেশ থেকে আরো বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাস্ট্রের পৃষ্টপোষকতায় পাহাড়ি নারীদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। একের পর এক সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি নারীরা ধর্ষণ ও ধর্ষনের পর হত্যার শিকার হলেও অপরাধীদের গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হচ্ছেনা। এ কারণে বার বার এমন নিকৃষ্ট পৈশাচিক নির্যাতন সংঘঠিত হচ্ছে এবং ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল ৭ মার্চ মানিকছড়িতে এক মারমা তরুনীকে তিনজন সেটলার বাঙালি কর্তৃক ধর্ষণের ঘটনা তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ।

সরকার পরিকল্পিতভাবে সেটলার বাঙালিদের দিয়ে জুম্ম নারীদের উপর যৌন আক্রমন পরিচালনা করছে অভিযোগ করে বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা হলো পাহাড়ের অশান্তির মূল কারণ। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সেখান থেকে সেনা-সেটলার প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান।

সমাবেশ শুরুর আগেএকটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় ঘুরে আসে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More