গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দু’দিন ব্যাপী জাতীয় প্রতিনিধি সম্মেলন শুরু
সম্মেলনে ইউপিডিএফ নেতা রবি শংকর চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনকে সরকারের কাছে বন্ধক দিয়ে রেখেছে। পুরো জাতি আজ সন্তু লারমার কাছে জিম্মি হয়ে রয়েছে। ভাইয়ে ভাইয়ে হানাহানির কারণে সরকার, সেনাবাহিনী ও সন্তু লারমা লাভবান হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা অনেক ছাড় দিয়ে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত নিরসনের জন্য সন্তু লারমার কাছে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা সাড়া দেয়নি। ভবিষ্যতে আমাদের দিক থেকে আর কোন আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হবে না। তবে সন্তু লারমারা যদি আলোচনার প্রস্তাব দেন তাহলে আমরা তা বিবেচনা করে দেখবো।
তিনি আরো বলেন, দেশের শাসক দলগুলো জুম্মদেরকে পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী-লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি’র মাধ্যমে বিভাজন তৈরী করে পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার আদায়ের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দুর্বল করে রেখেছে। এদের বিষয়ে সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
সচিব চাকমা বলেন, আমাদের মা, বোনেরা ধর্ষিত হচ্ছে, খুন হচ্ছে, ভুমি হারাচ্ছি- এ অবস্থায় পার্বত্য চট্টগ্রামের যুব সমাজ হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না। এসবের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এক শ্রেণীর সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর কারণে শেখ হাসিনা সরকার আমাদেরকে বাঙালি বানাতে সাহস পেয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত সহ সন্তু লারমাকে জুম্ম জাতির ক্ষতিকর আগাছা উল্লেখ করে বলেন, এরাই আমাদের জাতীয় অস্তিত্ব ধ্বংস করে দিতে চাই। এসব ক্ষতিকর আগাছাকে উপড়ে ফেলতে হবে।
মিঠুন চাকমা বলেন, আমরা যদি শক্তি অর্জন করতে পারি তাহলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবো। তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে জনগণের শকিতকে যেভাবে সন্তু লারমা সরকারের কাছে সমর্পন করেছে তা লজ্জ্বাজনক। যারা জাতীয় অধিকার আদায়ের আন্দোলন সরকারের কাছে বিকিয়ে দিয়েছেন তাদের মুখে থুথু নিক্ষেপ করার, ঘৃণা করার, ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে দেবার মতো চেতনা সম্পন্ন কর্মী গড়ে উঠতে হবে।