গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ৩য় সম্মেলন সম্পন্ন : ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা
নেতৃবৃন্দ ইউপিডিএফ তথা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের দাবি ও আশা-আকাঙ্খার ভিত্তিতে অবিলম্বে জাতীয় সংসদে ভূমি কমিশন আইনের সংশোধনী বিল পাসের দাবি জানিয়ে বলেন, ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া ও বেদখলকৃত জমি ফিরিয়ে না দেয়া পর্যন্ত পাহাড়ে শান্তি আসবে না।
তারা সরকারের দ্বিমুখী নীতির কড়া সমালোচনা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী এমপিরা মুখে বলেন এক কথা, করেন আরেকটা। তাদের কথা ও কাজের কোন মিল নেই। মিথ্যা আশ্বাস ও প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে তারা সরকারের পুরো পাঁচ বছরের মেয়াদকাল শেষ করলেন।
বক্তারা বলেন, সেটলারদের উগ্রসাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলো ভূমি কমিশন আইন পাস হলে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু করা হবে বলে প্রকাশ্যে বার বার হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। অথচ এরপরও সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এই দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলেই পাহাড়িদের উপর বার বার সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আবার কোন সাম্প্রদায়িক হামলা হলে সরকার ও এই উগ্রসাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলো দায়ি থাকবে বলে তারা মন্তব্য করেন।
ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক কমিটি চট্টগ্রাম অঞ্চলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হোসেন খান বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানকে এতবার এতভাবে কেটেকুটে টুকরো করা হয়েছে যে তাকে কাজে লাগানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সংবিধানে দেশে বসবাসরত সকল জাতিসত্তার যথাযোগ্য স্বীকৃতি না দেয়ার তিনি তীব্র সমালোচনা করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে শুধুমাত্র পূর্ণিমার চাঁদের প্রাকৃতিক সৗন্দর্যই শোভা পাবে না, সেখানে বিদ্রোহ বিপ্লব লড়াইও সংঘটিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে উপস্থিত কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিক্রমে জিকো মারমাকে সভাপতি পুনঃনির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন যথাক্রমে বিজয় চাকমা ও শ্যামল চাকমা।