গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা যুব সম্মেলন সম্পন্ন

0

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
সিএইচটিনিউজ.কম

 খাগড়াছড়ি: “দালাল-লেজুরবৃত্তির ঘৃণ্য পথ ছাড়, সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে বাচঁতে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের পতাকাতলে সমবেত হও” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা যুব সম্মেলন আজ ২৯ নভেম্বর শুক্রবার বেলা ২টায় স্বনির্ভরস্থ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতি ভবনের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কৃষ্ণ চরণ ত্রিপুরা এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রিপ্রু মারমা। এছাড়া সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইকেল চাকমা ও খাগড়াছড়ি জেলা আহ্বায়ক জিকো ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কণিকা দেওয়ান ও পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক বিপুল চাকমা।

DYF conferenceবক্তরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ আর সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতার শেষ প্রান্তে খাগড়াছড়ি সফরকালে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ সড়ক অবরোধের মাধ্যমে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে উগ্রবাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়ার সমুচিত জবাব দিয়েছে। হাসিনা সরকারের বিতর্কিত পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধনী পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ মেনে নেয়নি এবং কখনো মেনে নেবে না।

বক্তরা আরো বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ না করে যারা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র পক্ষ নিয়েছে তারা জাতির সাথে বেঈমানী করছেন। সংকীর্ণ ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে তারা জাতীয় স্বার্থকে বিকিয়ে দিচ্ছেন। তাদের একদিন যুদ্ধপরাধীদের মতো বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।

বক্তারা সরকারের চুক্তি বাস্তবায়নের মিথ্যা আশ্বাসে বিশ্বাস না করে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালনা করার জন্য জেএসএস-এর নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জনান।

সম্মেলন শেষে উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে আলো বরণ চাকমাকে সভাপতি, সন্দেশ চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক এবং রিপ্রু মারমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠন শেষে ঠিকাদার কল্যান সমিতি ভবনের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়।  মিছিলটি নারাঙহিয়া, উপজেলা, চেঙ্গীস্কোয়ার হয়ে স্বনির্ভর বাজার ঘুরে আবার ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির ভবনের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More