গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা শাখার ৭ম কাউন্সিল সম্পন্ন, ১৯ সদস্যের নতুন কমিটি গঠিত

0


রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলার শাখার ৭ম কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। এতে ১৯ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ জুন ২০২৫) সকাল ১০টায় এই কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

কাউন্সিলের ব্যানার শ্লোগান ছিল “পার্বত্য চট্টগ্রামের দমন-নিপীড়ন ও উন্নয়নের নামে ভূমি বেদখল, নারী ধর্ষন বন্ধ কর, জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষায় আন্দোলনে যুব সমাজ এক হও”।

কাউন্সিল অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা সভাপাতি নয়ন চাকমা ও সঞ্চালনা করেন সদস্য ধনু ত্রিপুরা।

এতে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রামগড় ইউনিটের সমন্বয়ক এডিশন চাকমা. গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুইচিং মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রামগড় উপজেলা সভাপতি গুলোমণি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা সভাপতি ক্যামরণ দেওয়ান ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রামগড় উপজেরা সভাপতি তৈমাং ত্রিপুরা।

অধিবেশন শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের উদেশ্য দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


বক্তারা বলেন, সরকার পাহাড়ে তথাকথিত উন্নয়ন ও পর্যটনের নামে, কখনো ক্যাম্প স্থাপনের নামে, কখনো সেটলারদের দিয়ে দাঙ্গা বাঁধিয়ে ভূমি বেদখল করছে এবং বন-প্রকৃতিকে ধ্বংসের পাঁয়তারা চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত কোথাও না কোথাও ভূমি বেদখল করা হচ্ছে। এই দখলদার ভূমিখেকোদের বিরুদ্ধে ছাত্র-নারী-যুবকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ সংগ্রামের বিকল্প নেই। পাহাড়ে অন্যায় দমন-পীড়ন, নির্যাতন, অব্যাহত ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতনসহ সকল ধরনের নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি নারী ধর্ষণ নতুন কোন ঘটনা নয়। গত কয়েক দিন আগে খাড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার শনখোলা পাড়ায় পাহাড়ি নারীকে ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ যাবত অনেক পাহাড়ি নারী ধর্ষণ, হত্যা ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। কিন্তু এসব ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি। এসব নারী নির্যাতনসহ সকল নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের সকলে ঐক্যবদ্ব হয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেতে হবে। যুব সমাজকে ঘরে বসে থাকলে হবে না। নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য দাবি পূর্ণস্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়া অবধি আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।


যুব শক্তিই দুনিয়ার সবচেয়ে অগ্রগামী শক্তি উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রত্যেক বিপ্লবী সংগ্রামে যুব সমাজের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের যুব সমাজকেও অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখতে হবে। আজকের এই কাউন্সিলে যারা দায়িত্বে আসবেন তারা নিশ্চয় আগামীতে রামগড় উপজেলার যুব সমাজকে সংগঠিত করতে পারবেন বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

কাউন্সিলের ২য় অধিবেশনে পুরোনো কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করে সকলের সম্মতিক্রমে ধনু ত্রিপুরাকে সভাপতি, শান্ত চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও নতুন ত্রিপুরাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সদস্য রিকেন চাকমা।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More