গুইমারায় এখনো আতঙ্ক কাটেনি, জনজীবন স্থবির

0
গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রামসু বাজারের প্রবেশ মুখে সেনাবাহিনী এভাবে বাঙ্কার বানিয়ে অবস্থান করছে। 


গুইমারা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর ২০২৫

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রামসু বাজারে সেনা-সেটলার হামলা, অগ্নিসংযোগ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে তিন মারমা যুবক নিহতের ঘটনায় গুইমারায় জনমনে এখনো আতঙ্ক কাটেনি। স্বাভাবিক হয়নি জনজীন। গুইমারা থানা পুলিশের অজ্ঞাতনামা আসামি করে দায়ের মামলার কারণে জনগণ আতঙ্কে রয়েছেন বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) গুইমারা বাজাারে সাপ্তাহিক হাটবার হলেও বাজারে তেমন কোন পাহাড়ি লোকজনকে দেখা যায়নি। আগে হাটবাজারের দিন পাহাড়ি কাঁচামালে জাঁকজমকপুর্ণ বাজার বসতো।   

সাপ্তাহিক হাটের দিন লোকজন বাজাারে না যাওয়ার বিষয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মুরুব্বীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, গুইমারা থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় গ্রেফতারের ভয়ে লোকজন বাজারে যায়নি। তাছাড়া ২৮ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনী যেভাবে গুলি চালিয়ে তিন জনকে হত্যা ও অনেক জনকে জখম করেছে তাতে লোকজনের মধ্যে যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তা এখনো কাটেনি। ফলে এলাকার জনগণ নানা ভয় ও আতঙ্কের মধ্যেই রয়েছেন বলে তারা জানান।

গুইমারা বাজারের আজকের (৭ অক্টোবর) চিত্র।

এদিকে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে রামসু বাজার প্রবেশ পথে বালুর বস্তা দিয়ে বাঙ্কার বানিয়ে রাতদিন পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া তারা আকাশে ড্রোন উড়িয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করে থাকে।

উল্লেখ্য, খাগড়াছড়ি সদরের সিঙ্গিনালায় মারমা কিশোরী ধর্ষণে জড়িত সকল ধর্ষককে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে জুম্ম ছাত্র জনতার আহ্বানে গুইমারা রামসু বাজার এলাকায় অবরোধ পালনকালে সেনাবাহিনী ও সেটলার বাঙালিরা হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীর গুলিতে আখ্র মারমা, থৈইচিং মারমা ও আথুইপ্রু মারমা নামে তিন মারমা যুবক নিহত হন। সেটলাররা রামসু বাজারের দোকানপাটসহ আশে-পাশের পাহাড়িদের বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More