গুম কমিশনে মাইকেল চাকমার অভিযোগ দাখিল

গুম কমিশনে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন মাইকেল চাকমা।
ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের নিকট অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ২০২৪) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকার গুলশানে ‘গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি’-এর কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগপত্র জমা দিয়ে আসেন তিনি। তার সাথে ছিলেন ইউপিডিএফ সদস্য ও পিসিপির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুনয়ন চাকমা ও পিসিপি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।
এসময় গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের প্রধান অসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকারকর্মী সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
কমিশনের সদস্যরা মাইকেল চাকমার সাথে গুম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। এসময় মাইকেল চাকমা তাকে কোথা থেকে কিভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস ২৮ দিন গুম থাকাকালীন অবস্থার বিবরণসহ সর্বশেষ ছেড়ে দেয়া পর্যন্ত যা ঘটেছে সবিস্তারে কমিশনের নিকট বর্ণনা দেন।
উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার কল্যাণপুর এলাকা থেকে মাইকেল চাকমাকে সাদা পোশাক পরিহিত একদল অপরিচিত লোক জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তিনি দীর্ঘ ৫ বছর ৩ মাস ২৮ দিন ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিত গোপন বন্দীশালায় গুম অবস্থায় ছিলেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে তাকে ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার চট্টগ্রাম বনবিভাগের করেরহাট বিটের একটি বাগানের নির্জন স্থানে চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
যে এলাকায় মাইকেল চাকমাকে ছেড়ে দেওয়া হয় সেখান থেকে বারৈয়ার হাটের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার, হেঁয়াকো’র দুরত্ব ৮ কিলোমিটার ও রামগড়ের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার।

চট্টগ্রাম বনবিভাগের করেরহাট বিটের এই বাগানের একটি নির্জন স্থানে গত ৭ আগস্ট ২০২৪ মাইকেল চাকমাকে চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।