ঘাগড়ার রাজখালীতে সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র অবস্থান: প্রশাসন নীরব

কাউখালী প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
গত কয়েক দিন ধরে রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলাধীন ঘাগড়া ইউনিয়নের রাজখালীতে জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের ২৫-৩০ জনের একটি সশস্ত্র দল অবস্থান করলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, গত ৩১ অক্টোবর থেকে সশস্ত্র দলটি ঘাগড়া বাজারের উত্তর-পশ্চিমে এবং রাণীর হাটের পূর্বে ধোল্যাছড়ি-রাজখালীর মাঝামাঝি একটি জায়গায় অবস্থান করছে। এলাকাটি রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক থেকে আনুমানিক এক কিলোমটিার উত্তরে এবং ডাক বাংলা পুলিশ ক্যাম্প থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে।
সশস্ত্র দলটি চাঁদা নিয়ে ঠিকাদারের সাথে বোঝাপড়া না হওয়ায় সেখানে বেতছড়ি ব্রিজের নির্মাণ কাজ জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পুলিশ ও প্রশাসনের নাকের ডগায় সন্তু গ্রুপের সশস্ত্র দলটি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালালেও সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। সেনাবাহিনীর একটি সশস্ত্র দল ওই এলাকায় জেএসএসের সশস্ত্র দলটির অবস্থানের কাছাকাটি গিয়ে টহল দিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে এলাবাসী অভিযোগ করেছেন।
অনেকে মনে করেন, প্রশাসন কিংবা সেনাবাহিনীর সাথে বোঝাপড়া বা সমর্থন ছাড়া জেএসএসের একটি সশস্ত্র দলের পক্ষে সেখানে অবস্থান করা আদৌ সম্ভব নয়।
নিরাপত্তাজনিত কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজখালীর জনৈক জনপ্রতিনিধি সিএইচটি নিউজকে বলেন, ‘সেনাবাহিনীর সাপোর্ট ছাড়া জেএসএসের (সন্তু লারমার অংশ) পক্ষে এখানে থাকা সম্ভব নয়। কাজেই আমার মনে হয়, সেনাবাহিনীর সাথে তাদের অবশ্যই ভালো বোঝাপড়া থাকবে। তারা এত বোকা নয় যে, সেনাবাহিনীকে না জানিয়ে তারা এই ধরনের একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আসবে।’
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মুখে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাগাড়ম্ভর করলেও নিজেরা সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করে ও সাপোর্ট দেয় মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘এটাতো সবাই জানে ও দেখে।’
তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে সেনাবাহিনী যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তাদের উচিত আমাদের এলাকায় আসা জেএসএসের এই সশস্ত্র গ্রুপটির বিরুদ্ধে দ্রুত এ্যাকশন নিয়ে সারা দেশবাসীর কাছে প্রমাণ করা যে তারা সত্যিই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।’
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
