‘চৈত্র সংক্রান্তি’ ও ‘বৈ-সা-বি’ উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণার দাবিতে চবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

0


চবি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫

পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং সমতলের সকল জাতিসত্তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘চৈত্র সংক্রান্তি’ ও ‘বৈ-সা-বি’ উপলক্ষে ৫ দিনের ছুটি ঘোষণার দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে পাহাড় ও সমতলে ক্রিয়াশীল সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনসমূহ।

আজ বুধবার (৫ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১২:৩০ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কক্ষে উপাচার্য জনাব ড. ইয়াহহিয়া আখতারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও উপাচার্য দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, “পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, বিহু, চাংক্রান বা সংক্ষেপে বৈ-সা-বি আমাদের আবহমান সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। এ উৎসব পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিসত্তা এবং সমতলের আদিবাসী জনগণের কাছে জাতীয় ও সামাজিক ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, প্রতি বছর এই উৎসব পালন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাহাড়ি এবং সমতলের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকে বিধায় তারা নিজ পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও প্রিয়জনের সাথে মিলে উৎসব করার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।”

এতে আরো বলা হয়, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭’শ অধিক পাহাড়ি এবং সমতলের আদিবাসী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে। তাই, বাংলাদেশের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসব পালনের সুবিধার জন্য যেমন দীর্ঘ ছুটি প্রদান করা হয়, তেমনি পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি জাতিগুলোর এবং সমতলের আদিবাসীদের বৃহত্তম সামাজিক উৎসব উদযাপনের স্বার্থেও পর্যাপ্ত ছুটি বরাদ্দ করা প্রয়োজন। দেশে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মীয় গোষ্ঠীর মধ্যে উৎসব কেন্দ্রীক এই উৎকট ছুটি বৈষম্য দূর করা এখন সময়ের দাবি। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিম্নোক্ত ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠন সমূহ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি বছর ১২-১৬ এপ্রিল পাঁচ দিনের ছুটি ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।”

ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের প্রতিনিধি যাঁরা স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন:

১. ধন রঞ্জন ত্রিপুরা, সভাপতি, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগর

২.উসাচিং মারমা, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস্ কাউন্সিল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

৩. রাওঙি ম্রো, কার্যনির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ম্রো স্টুডেন্টস্ এসোসিয়েশন

৪. মিশন চাকমা, সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার

৫. এরিনা চাকমা, সদস্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জুম্ম শিক্ষার্থী পরিবার

৬. ভুবন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

৭. পিযুষ টপ্য, সমাজতত্ত্ব বিভাগ, প্রতিনিধি, ওরাঁও জাতিগোষ্ঠী।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More