মতামত

ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাস: পূর্ব তিমোর থেকে শিক্ষা নেয়া জরুরী

0

অনন্ত চাকমা


ঠ্যাঙাড়ে শব্দটি কখন ও কীভাবে বাংলায় এসেছে তা এই লেখকের জানা নেই। বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলা অভিধানেও শব্দটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে প্রখ্যাত উপন্যাসিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের পথের পাঁচালী উপন্যাসে এই শব্দটির বহুল ব্যবহার দেখা যায়। তিনি বলছেন, ‘বৃটিশ শাসন তখনও দেশে বদ্ধমূল হয় নাই। যাতায়াতের পথ সকল ঘোর বিপদসঙ্কুুল ও ঠগী, ঠ্যাঙাড়ে জলদস্যু প্রভৃতিতে পূর্ণ থাকিত।’ এই ঠ্যাঙাড়েরা ‘পুকুরের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের তলে লুকাইয়া থাকিত এবং নিরীহ পথিককে মারিয়া তাহার যথাসর্বস্ব অপহরণ করিত।’ (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ)

তার ওই উপন্যাস থেকে জানা যায়, ঠ্যাঙাড়েরা কোন কোন সমৃদ্ধিশালী ব্যক্তির আশ্রয়ে বেতনভোগী হিসেবে থাকত এবং তাদের হুকুমে খুন, অপহরণ ইত্যাদিতে লিপ্ত হত। ঠ্যাঙাড়েদের এই গোলামী চরিত্রটি এখনও অক্ষত আছে। তবে আদিকালের ও আধুনিক যুগের ঠ্যাঙাড়েদের মধ্যে মস্ত বড় পার্থক্য হলো এই যে, আগে তাদের ঠ্যাঙাড়েগিরি করার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, আর সেটা হলো ধন-সম্পদ অর্জন করা। অন্যদিকে এখন ঠ্যাঙাড়েদের ব্যবহার হয় মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, যদিও নিরীহ লোককে অপহরণ, জিম্মি ও চাঁদাবাজি করে তাদের বিপুল অর্থও লাভ হয়। আগে ঠ্যাঙাড়ে পুষত ধনাঢ্য ব্যক্তিরা, আর এখন তাদের কারা পোষে তা সবার জানা। এই কালে দেশে দেশে যেখানে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলে সেখানে ঠ্যাঙাড়েদের দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখা যায়। জেফ্রি রবিনসন (Geoffrey Robinson) তার People’s War: militias in East Timor and Indonesia প্রবন্ধে লেখেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় ঠ্যাঙাড়েরা সেনাবাহিনীর স্ট্যান্ডার্ড কাউন্টার ইন্সার্জেন্সির কৌশলের অংশে পরিণত হয় এবং তাদেরকে নিজ দেশের সহ-নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সংগঠিত করা হয়।’ তার মতে যখন নিয়মনীতি ও আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে অথবা অর্থের সংকটের কারণে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো সহিংসতা করার কাজকে সাধারণ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে না দিয়ে অন্যের কাছে সাব-কন্ট্র্যাক্ট দিতে চায়, তখনই মিলিশিয়া বা ঠ্যাঙাড়েদের জন্ম হয় ও শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।

ঠ্যাঙাড়েদের ইংরেজীতে কখনো ভিজিলান্টি (vigilnate) আবার কখনও মিলিশিয়া (militia) বলা হয়েছে। শাসকদের দিক থেকে তাদের দিয়ে কাজ করানোর বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। তার একটি হলো বাইরের দুনিয়ার কাছে এই ভ্রম (illusion) সৃষ্টি করা যায় যে, স্থানীয়রা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় বাহিনী নিরপেক্ষভাবে কাজ করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে দুই পক্ষের সংঘাতে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ভূমিকা আড়ালে পড়ে যায়। এছাড়া এই সংঘাতের বিষয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী সহজেই নিজের দায় অস্বীকার করতে পারে। পূর্ব তিমোরীদের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ ঠিক এ কাজটিই করেছিল। জেফ্রি লিখেছেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ দাবি করে যে, স্বাধীনতাপন্থীদের প্ররোচনার জবাবে মিলিশিয়ারা স্বতস্ফূর্তভাবে সংগঠিত হয়েছে, যে সংঘাত চলছে তা হলো পূর্ব তিমোরীদের নিজেদের মধ্যে এবং ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী সংঘাত নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা চালাচ্ছে।’

ম্যাপের ছবিটি গুগল থেকে সংগৃহিত।

পূর্ব তিমোর বর্তমানে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হলেও এখানকার জনগণ ৫০০ বছর ধরে পর্তুগীজ, ডাচ ও ইন্দোনেশিয়ার ঔপনিবেশিক শাসনাধীনে ছিলেন। এমনকি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান দেশটি আক্রমণ করে নিজের দখলে নেয়। এই যুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মাঝখানে পড়ে ৪৫,০০০ থেকে ৭০,০০০ পূর্ব তিমোরী প্রাণ হারায়, যা তাদের সেই সময়ের জনসংখ্যার ১০-১৫% (তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল ৪,৫০,০০০)।

১৯৭৫ সালে পর্তুগাল পূর্ব তিমোর থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেয়ার অর্থাৎ অ-উপনিবেশিকরণের ঘোষণা দেয়। এই সুযোগে ইন্দোনেশিয়া পূর্ব তিমোরকে নিজের দখলে নেয়ার জন্য তুমুল ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তারা পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের সাথে বার বার গোপন আলোচনা চালাতে থাকে এবং সুহার্তো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট গেরাল্ড ফোর্ড এর সমর্থন আদায় করে এই বলে যে, পূর্ব তিমোরের স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক দল ফ্রেটিলিন (FRETILIN) হলো কমিউনিস্ট।

পর্তুগাল চলে যাওয়ার প্রাক্কালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনে ফ্রেটিলিন ও ইউডিটি যুক্ত ফ্রন্ট গঠন করে। ইন্দোনেশিয়ার গোয়েন্দারা সেটা ভেঙে দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং সফল হয়। গোয়েন্দারা ইউডিটিকে হাত করে এই ভাঙন সৃষ্টি করে। ফলে এই দুই পার্টির মধ্যে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলে, যাতে ১,৫০০ থেকে ৩,০০০ লোক মারা যায় এবং ১০,০০০ জন পশ্চিম তিমোরে (ইন্দোনেশিয়ার অংশ) শরণার্থী হতে বাধ্য হয়।

১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে ইন্দোনেশিয়া পূর্ব তিমোর দখল করে। শুরু হয় নতুন শত্রুর বিরুদ্ধে পূর্ব তিমোরীদের প্রতিরোধ ও স্বাধীনতার লড়াই। যুদ্ধের প্রথম পর্যায়েই ২,০০০ জন প্রাণ হারায়। ইন্দোনেশিয়ার সরকার গেরিলা যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে ‘ঘেরাও ও নির্মূল অভিযান’ চালায়। ১৯৭৯ সালের মধ্যে গেরিলা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ নেতারা গ্রেফতার অথবা নিহত হন, তাদের ৮০% যোদ্ধা খোয়া যায় এবং ৯০% অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস হয়। সানানা গুজমাও সহ মাত্র দু‘ তিন জন নেতা বেঁচে যান। সরকার ৩,৭২,৯০০ পূর্ব তিমোরীকে (যা মোট জনসংখ্যার ৬০%) ১৫০টি শিবিরে অন্তরীণ করে রাখে। সরকার পূর্ব তিমোরীদের দিয়ে পূর্ব তিমোরীদের দমন করতে তাদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে। এক ডজনের বেশি ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপ গঠন করে দেয়া হয়। ১৯৯২ সালে সানানা গুজমাও-ও পূর্ব তিমোরের রাজধানী দিলিতে গ্রেফতার হন। তার কয়েক বছর আগে জোসে রামোস হোর্তা দেশান্তরি হয়ে যান এবং তাদের স্বাধীনতার দাবির প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের চেষ্টা চালান। এ অবস্থায় বলতে গেলে পূর্ব তিমোরীদের আন্দোলন নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ে।

এই চরম দুরাবস্থার মধ্যেও তাদের আন্দোলন থেমে থাকেনি। পূর্ব তিমোরীরা সাহসের সাথে লড়াই চালিয়ে যায় এবং অবশেষে ১৯৯৯ সালে ইন্দোনেশিয়ার সরকার গণভোট দিতে বাধ্য হয়। এই গণভোটের আগে ও পরে ইন্দোনেশিয়াপন্থী মিলিশিয়া বা ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলো অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে ওঠে। সরকার তাদেরকে অর্থ ও অন্যান্য সাহায্য দেয়। এ সময় ঠ্যাঙাড়েদের সংখ্যা ১,২০০ থেকে ৯,০০০ জনে পৌঁছায় বলে অনুমান করা হয়। তারা ভোটের ফলাফল ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে নিতে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। গণহত্যা, খুন, জ্বালাও পোড়াও, উচ্ছেদ, হুমকি ইত্যাদি চলতে থাকে। কেবল এই গণভোটকে কেন্দ্র করে ১,০০০ থেকে ১,৫০০ পূর্ব তিমোরী নিহত হয়। কিন্তু ঠ্যাঙাড়েদের এত দমনপীড়ন সত্বেও সাধারণ জনগণ দমে যায়নি। গণভোটের দিন তারা বাঁধভাঙা জোয়ারের মতো বেরিয়ে আসে এবং ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসের দাঁতভাঙা জবাব দেয়। মোট ৯৮.২% ভোটার গণভোটে অংশ নেয় এবং ৭৮.৫% স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দেয়। অবশেষে জনগণের দীর্ঘ সংগ্রামের জয় হয়। পূর্ব তিমোর ২০০২ সালের ২০ মে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘের স্বীকৃতির মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করে।

জনসংখ্যায় এত কম হওয়া সত্বেও একের পর এক মহাশক্তিধর উপনিবেশবাদী দেশের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে পূর্ব তিমোরীদের স্বাধীনতা লাভ সত্যিই এক বিষ্ময়কর ঘটনা। তাদের সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায় তারা যুদ্ধ করে শতে শতে হাজারে হাজারে মারা গেছে, আত্মাহুতি দিয়েছে, কিন্তু তারপরও রণে ভঙ্গ দেয়নি। তারা পরাজিত হয়েছে, কিন্তু বশ্যতা স্বীকার করেনি। শুধু ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে নয়, পর্তুগীজ ও ডাচদের বিরুদ্ধেও তারা বার বার বিদ্রোহ করে, বার বার পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু তারপরও ফিনিক্স পাখির মতো আবার উঠে দাঁড়িয়ে তারা স্বাধীনতার জন্য লড়াই চালিয়ে যায়। এসব যুদ্ধে তাদের হাজার হাজার লোক মারা যায়। স্বাধীনতার জন্য এভাবে এত বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ও ত্যাগ স্বীকার করা, এত একাগ্রচিত্তে মরণপণ সংগ্রাম করা বিশ্বে খুব কম জাতির পক্ষেই সম্ভব। আর যারা এভাবে সংগ্রাম করে তাদের বিজয় কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারে না।

পূর্ব তিমোরের সংগ্রাম আমাদের বেশ কিছু শিক্ষা দেয়। প্রথমত, যুদ্ধে বা সংগ্রামে জয় পরাজয় জনসংখ্যার ওপর নির্ভর করে না। ১৯৭৫ সালে ইন্দোনেশিয়ার জনসংখ্যা যেখানে ১৩ কোটি ১২ লক্ষেরও বেশি, সেখানে পূর্ব তিমোরীদের জনসংখ্যা মাত্র ৬ লক্ষ উনত্রিশ হাজার জন, অর্থাৎ একেবারে নগণ্য। দ্বিতীয়ত, একাগ্রতা ও দৃঢ়তার সাথে সংগ্রাম করলে একটি ক্ষুদ্র জাতির পক্ষেও তার চাইতে বহু গুণ শক্তিশালী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধেও জয় লাভ করা ও স্বাধীনতা বা অধিকার অর্জন করা সম্ভব। তৃতীয়ত, উপনিবেশিক দেশগুলোর ভাগ করে শাসন করার নীতি প্রথমদিকে একটা সময় পর্যন্ত কার্যকর হলেও, এতে তাদের শেষ রক্ষা হয় না। ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী, মিলিশিয়া, স্বেচ্ছাসেবক ইত্যাদি দিয়ে আন্দোলন দমনের চেষ্টা শেষ পর্যন্ত সফল হয় না। চতুর্থত, একটি পার্টির নেতৃত্ব শত্রুর আক্রমণে গুরুতর ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পরও যদি সে দৃঢ়তার সাথে ও সঠিক লাইনে সংগ্রাম চালিয়ে যায় তাহলে এক সময় তাদের বিজয় অর্জিত হয়।

খাগড়াছড়িতে মুখোশ বাহিনীর বিরুদ্ধে জনতার লাঠি মিছিল, ৮ মার্চ ১৯৯৬। ফাইল ছবি

এবার আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের দিকে চোখ ফেরানো যাক। এই অঞ্চলের জনগণও মহা পরাক্রমশালী মুগলদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে নিজেদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ রেখেছিল। বৃটিশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক যুগ ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধ সংগঠিত করেছিল। এখানকার জনগণ নিজেদের অধিকারের জন্য বার বার উঠে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব তিমোরের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামেও সরকার নিষ্ঠুর দমনপীড়ন জারী রেখেছে এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী দিয়ে গণহত্যা, খুন, গুম, অপহরণসহ লাগামহীন সন্ত্রাসের মাধ্যমে আন্দোলন দমনের চেষ্টা চালিয়েছে ও এখনও চালাচ্ছে। কিন্তু এখানে বলা দরকার বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর এই ঠ্যাঙাড়ে কৌশল কেবল ইদানিংকালের ঘটনা নয়। ৯০ দশকে শান্তিবাহিনীর যুগেও সরকার একই কৌশল প্রয়োগ করেছিল। তখন তথাকথিত লায়ন বাহিনী, টাইগার বাহিনী, গণ প্রতিরোধ কমিটি (গপ্রক) সহ নানা রঙের ঠ্যাঙাড়ে ও স্পাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভরে গিয়েছিল। শান্তিবাহিনী বা জেএসএসও শক্তি প্রয়োগ করে তাদের দমন করতে পারেনি। তাদের দোর্দণ্ড প্রতাপে তখন যেন নিঃশ্বাস ফেলতেও কষ্ট হত। কিন্তু এমন চরম দুঃসহ অবস্থাও চিরস্থায়ী হয়নি। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে ব্যাপক ছাত্র-গণআন্দোলনের জোয়ারে এসব ঠ্যাঙাড়ে বাহিনীগুলো খড়কুটোর মতো ভেসে গিয়েছিল। এর পর পার্বত্য চুক্তির কিছু সময় আগে গণ আন্দোলন দমনের জন্য ‘পিসিপি-পিজিপি সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি’ নামে অন্য একটি (মুখোশ নামে পরিচিত) এবং চুক্তির পর লক্ষ্মীছড়িতে বোরখা পার্টি নামে অপর একটি ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী সৃষ্টি করা হয়েছিল। তবে গণ আন্দোলনের মুখে সেগুলোও ধ্বংস হয়ে যায়।

রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ঠ্যাঙারে বাহিনীর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খাগড়াছড়িতে জানতার বিক্ষোভ, ১৪ আগস্ট ২০১৮। ফাইল ছবি

কাজেই যে ঠ্যাঙাড়েদের আজ এত দাপট, তাও চিরকাল থাকবে না। পূর্ব তিমোরে ইন্দোনেশিয়াপন্থী মিলিশিয়ারা হাজার হাজার লোককে হত্যা করেও টিকতে পারেনি। অতীতে আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামেও পারেনি। আজকে ঠ্যাঙাড়েরা যতই দাপট দেখাক, তাদেরকে যতই শক্তিশালী মনে হোক, তাদের মদদদাতাদের উস্কানিতে নিরীহ মানুষ মেরে তারা যতই উল্লাস করুক, তাদের দিনও এক সময় শেষ হতে বাধ্য। এমন সময় আসবে যখন তাদের গডফাদাররা আর তাদের রক্ষা করতে পারবে না, যেমন অতীতে তাদের পূর্বসূরীদের পারেনি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বীর জনগণ কখনই ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করবে না। সকল অন্যায়ের অবসান এবং জনগণের জয় একদিন হবেই হবে। (সমাপ্ত)


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More