ডিওয়াইএফের মাটিরাঙ্গা উপজেলা সভাপতিকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রামগড়ে বিক্ষোভ

0

রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখা সভাপতি ধারাজ চাকমা (রিকন)-কে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণের পর সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রামগড় বিক্ষোভ মিছিল করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ।

গতকাল রবিবার (৩ মার্চ ২০২৪) সকাল ১০টায় “পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ কর” শ্লোগানে তারা প্রথমে একটি মিছিল বের করেন। পরে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা শাখার সভাপতি লিটন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন চাকমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফের রামগড় উপজেলা ইউনিটের সংগঠক সুবর্ণ মারমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রামগড় উপজেলা সভাপতি গুলোমণি চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা সদস্য ধনুক ত্রিপরা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের রামগড় উপজেলা সহসভাপতি রাজু ত্রিপুরা।

বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ১ মার্চ বিকালে সাংগঠনিক কাজে যাবার পথে বড়পিলাক এলাকা থেকে যুব ফোরামের মাটিরাঙ্গা উপজেলা গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম সভাপতি ধারাজ চাকমাকে সেনাসৃষ্ট ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। পরে তাকে মারধর করে গুইমারা সেনা ব্রিগেডে নিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

এরপর সেদিন রাতে সেনাবাহিনী ধারাজ চাকমাকে অস্ত্র গুজে দিয়ে গুইমারা থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করলে পুলিশ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দিয়ে তাকে জেলে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু পুলিশ অপহরণকারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

বক্তারা আরো বলেন, ঠ্যাঙাড়ে সন্ত্রাসীরা শুধু ধারাজ চাকমাকে অপহরণের পর সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছে তা নয়, গত ১১ ডিসেম্বর পানছড়িতে বিপুলসহ চার তরুণ নেতাকে হত্যা ও এর পরবর্তী আরো কয়েকটি হত্যার ঘটনা সংঘটিত করেছে। কিন্তু এই খুনি সন্ত্রাসীদের এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। বরং এই সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রমে অশান্তি সৃষ্টি করছে সেনাবাহিনী।

বক্তারা খুন, অপহরণসহ সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ছাত্র-যুব-নারী সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

তারা অবিলম্বে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারকৃত ধারাজ চাকমাকে নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী ভেঙে দেয়ার দাবি জানান।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More