ঢাকায় তিন সংগঠনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

0


ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

“পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে ১৪৪ ধারা লঙ্ঘনের গৌরবোজ্জ্বল দীপশিখা উর্ধ্বে তুলে ধরে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াই এগিয়ে নিন” এই শ্লোগানে ঢাকায় তিন সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকাল ৫টায় ঢাকায় শাহবাগ এলাকায় একটি হল রুমে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

নিপীড়িত জাতি ও জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সকল বীর শহীদদের শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে আলোচনা সভা শুরু হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সংগঠক মাইকেল চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা প্রমুখ।

সভায় মাইকেল চাকমা বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি জাতির কিছু সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস থাকে, সে ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসেও তেমনি কিছু গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস আছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন হলো ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি।  

১৯৯৪ সালের আজকের এই দিনে বর্তমান ইউপিডিএফ-এর সভাপতি প্রসিত বিকাশ খীসার নেতৃত্বে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মী ও সাধারণ প্রতিবাদী জনতা শাসকশ্রেণির অন্যায়ভাবে জারি করা ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল দিন হিসেবে ১০ ফেব্রুয়ারিকে স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করেছে।

তিনি আরো বলেন, ১০ ফেব্রুয়ারি দিনটি পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের জন্য একদিকে গৌরবোজ্জ্বল দিন হলেও অন্যদিকে অবমাননার একটি দিনও। এই সংগ্রামী তেজোদীপ্ত দিনটির গুরুত্ব ম্লান করে দেয়ার জন্য সরকার পরিকল্পিতভাবে ১৯৯৮ সালে দিনটিকে জেএসএস এর অস্ত্র সমর্পণের দিন নির্ধারণ করেছিল।

রিতা চাকমা বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে ১৯৯৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে মুছে ফেলার জন্য ১৯৯৮ সালে এই দিনে জেএসএসদের অস্ত্র সমর্পণ দিন ঠিক করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কিন্তু যতই ষড়যন্ত্র করুক গৌরবের ইতিহাসকে মুছে ফেলা যাবে না।

জিকো ত্রিপুরা বলেন, কাজ করতে গেলে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আসবে। এসব বাধা অতিক্রম করে সাহসিকতার সাথে আগামী দিনের আন্দোলন তথা পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে নিতে হবে।

অমল ত্রিপুরা বলেন, আমরা অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস থেকে সাহস, শক্তি ও অনুপ্রেরণা নিয়ে সামনে দিনে লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করবো, এগিয়ে নিয়ে যাবো।

তিনি নতুন প্রজন্মকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অতীতের লড়াই সংগ্রামের ইতিহাস জেনে আগামী দিনের লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More