ঢাকার মিটফোর্ড, চাঁদপুর, খুলনাসহ দেশজুড়ে চলমান হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ঢাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের বিক্ষোভ

ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫
ঢাকার মিটফোর্ডে ভাঙারী ব্যবসায়ী সোহাগকে নৃশংসভাবে হত্যা, চাঁদপুর ও খুলনাসহ সারাদেশে চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
শনিবার (১২ জুলাই ২০২৫) বিকাল ৫ টায় মিছিল শেষে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্ব ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নে সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্র নাথ বাপ্পি ও বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনে ঢাকা নগর শাখার আহ্বায়ক নাঈম উদ্দিন।
সমাবেশে ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশজুড়ে হিংস্রতা, বর্বরতা মাত্রাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সমস্ত বুর্জোয়া শক্তি আধিপত্যের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। বর্তমান সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, সরকারের একজন উপদেষ্টা যখন প্রস্তর যুগে প্রবেশের কথা বলেন তখন ইন্টেরিম আমলে রাষ্ট্র, সরকার, আইনের শাসনের অনুপস্থিতিকেই ইঙ্গিত করে৷
জাবির আহমেদ জুবের বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আগে আমাদেরকে হত্যা-খুন-ধর্ষণের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হয়েছিল। অভ্যুত্থানে পরবর্তীতেও এখনো দাঁড়াতে হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণকে দেশে আইনী শাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকলকে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে৷
রাফিকুজ্জামান ফরিদ বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি নিয়ে জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানে হয়েছিল। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আবারো খুন-হত্যা-ধর্ষণের অভয়ারণ্য হচ্ছে। এই ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে৷ জনগণকে এই আধিপত্যের রাজনীতির উৎসকে চিনতে হবে৷ জুলাই অভ্যুত্থানে জনগণের আকাঙ্ক্ষার শক্তি, গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তির সাথে সামিল হয়ে গণতন্ত্রের জন্য, নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই গড়ে তুলতে হবে৷

শুভাশীষ চাকমা বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের সকল নাগরিকের অধিকারের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জনতা অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে পাহাড়ে একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। আজ সমতলেও সেই নৃশংসতা দৃশ্যমান।
রথীন্দ্র নাথ বাপ্পি বলেন, যুবদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগামীর বাংলাদেশে আধিপত্যের রাজনীতির প্রকাশ৷ জামায়াতের রগকাটা রাজনীতি, ভিন্নমতের জের ধরে কুপিয়ে হত্যার সংস্কৃতির বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ প্রয়োজন৷
নাঈম উদ্দিন বলেন, এই হিংস্রতা শাসক শ্রেণীর দলগুলোর রাজনীতি। ইন্টেরিম সরকার সাম্রাজ্যবাদের তোষণে ব্যস্ত হলেও জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ৷
তিনি আরো বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পাহাড়ি বন্ধুরা আমাদের সাথে মাঠে নেমেছিল। কিন্তু পাহাড়ে এখনো অঘোষিত সেনাশাসন বিদ্যমান রয়েছে। এর মাধ্যমে সেখানকার জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।