রাঙামাটিতে সেনা কর্তৃক জনবসতিতে হামলা, আটক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে

ঢাকায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের বিক্ষোভ

0

ঢাকা : রাঙামাটি শহরে সেনা কর্তৃক জনবসতিতে হামলা, নিরীহ ৩ ব্যক্তিকে আটক ও নারীসহ ১১ জনকে ক্যাম্পে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন যৌথভাবে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

গতকাল শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮) বিকাল সাড়ে ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মিছিলের পূর্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড ওয়ার্কাস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউডব্লিউডিএফ)-এর যুগ্ম সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ঢাকা শাখার আহ্বায়ক কইঞ্জনা মারমা। সমাবেশ পরিচালনা করেন পিসিপি ঢাকা শাখার নেতা শুভাশীষ চাকমা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘকাল ধরে দমনপীড়ন-ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ঘনিয়ে আসলে আরো নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়। ফলে দমনপীড়ন বৃদ্ধি পায়, সংঘটিত করা হয় বিভিন্ন ঘটনা। রাঙামাটিতে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সেনা কর্তৃক জনবসতিতে হামলা, আটক ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনাও আগামি নির্বাচনের ষড়যন্ত্রের অংশ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসনে জনগণের জীবন দুর্বিষহ হয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত জনগণের ওপর নির্যাতন ও অন্যায় করা হচ্ছে। সেনাপ্রশাসন জনগণকে মানুষ হিসেবে গণ্য করছে না।

সেনাদের অন্যায় হামলা প্রতিরোধ করার জন্য স্থানীয় নারীদের প্রশংসা করে বক্তারা বলেন, এধরনের প্রতিরোধ নিপীড়িত জনতাকে উজ্জীবিত  এবং লড়াই সংগ্রামকে বেগবান করবে। নারীদের প্রতিরোধ এই বার্তা দিচ্ছে যে, জনগণ সেনাপ্রশাসনের অন্যায় আর বরদাস্ত করবে না।

সমাবেশে অবিলম্বে আটককৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি ও জনবসতিতে হামলা ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছনাকারী সেনা সদস্যদের শাস্তির দাবি জানান।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়।

মিছিলের ব্যানারে আহ্বান জানিয়ে লেখা ছিল ‘‘আসন্ন নির্বাচনে প্রভাব খাটাতে পাকিস্তানপন্থী সেনা কর্মকর্তা, আত্মগোপনে-থাকা জঙ্গী ও ‘মোত্তালেব বাহিনীর’ খুন-অপহরণ ও ধরপাকড়ের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ হোন”।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিকালে এক নিরীহ ব্যক্তিকে আটক করার উদ্দেশ্যে সেনারা রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি এলাকায় হানা দিয়ে জনসাধারণের ওপর হামলা করে। এতে স্থানীয় নারীরা প্রতিরোধ করলে সেনারা উক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাতে পূনর্বার হানা দিয়ে  নারীসহ ১১ জনকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার পর তাদেরকে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া সেনা কর্তৃক উক্ত ১১ জন বাদেও  আরো ৩ জনকে আটক করা হয়, যাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়নি।
———————–
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More