তাইন্দংযের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ নেই

0
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি, সিইচটিনিউজ.কম
 
এভাবে খোলা আকাশের নীচে পোড়া ঘরে পলিথিন মুড়িয়ে মানবেতর
জীবন যাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দংয়ে গত ৩ আগস্ট সেটলার বাঙালি কর্তৃক পাহাড়ি গ্রামে হামলা, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী না থাকায় ক্ষতিগ্রস্তরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারীভাবে এখনো তেমন কোন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি। যদিও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার পাহাড়িদের নিরাপত্তা ও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়ে ভারতে আশ্রিত পাহাড়িদের ফিরিয়ে এনেছিলেন।

ঘটনার পর থেকে যেসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- ৪ আগস্ট বিজিবি কর্তৃক বাড়ি পুড়ে যাওয়া প্রতিটি পরিবারের জন্য চাউল ২ কেজি, লবন ১ কেজি, ডাল ৫০০ গ্রাম, চিনি ৫০০ গ্রাম ও সয়াবিন ১ লিটার করে বিতরণ করা হয়।

৫ আগস্ট বিজিবি কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত প্র্রতিটি পরিবারের জন্য ৫ কেজি করে চাউল এবং ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ১০ কেজি করে চাউল বিতরণ করা হয়। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক লুঙ্গি ১টি, গামছা ১টি ও পাজারা ১টি এবং বিজিবি কর্তৃক ছোট পাতিলা ২টি, ছোট দস্তা মগ ১টি, ছোট কলসি ১টি, চামচ ১টি, প্লেট ১টি, বেডসীট ১টি, ছোট গামছা ১টি ও লুঙ্গি ১টি করে বিতরণ করা হয়।

৬ আগস্ট বিজিবি কর্তৃক ঘরপোড়া পরিবারগুলোর জন্য পলিথিন ১৬৬ গজ, পানির বোতল ১০০০ লিটার, পাতিলা ১০০টি, গেঞ্জি ৯৪টি, হাফপ্যান্ট ১০০টি বিতরণ করা হয়। এছাড়া তাবু (ফেরত যোগ্য) ২৯টি দেয়া হয়।

৮ আগস্ট উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘরপোড়া ৩৩ পরিবারকে চাউল ৩০ কেজি, চিড়া ২ কেজি, গুড় ৫০০ গ্রাম, নগদ ৭,৫০০ টাকা, ম্যাচ ১টি ও মোম ১টি বিতরণ করা হয়। এছাড়া প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১হাজার টাকা করে দেয়া হয়।

এছাড়া বেসরকারী বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তির উদোগে কিছু কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য খুবই অপ্রতুল। দীপংকর তালুকদার আশ্বাস দেয়ার পরও সরকারীভাবে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে, চিকিসার সুব্যবস্থা না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জনগণ নানা রোগব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রথম দু’একদিন সেনাবাহিনীর তরফ থেকে চিকিসা সেবা দেয়া হলেও বর্তমানে সে ধরনের কোন কোন চিকিসা দেয়া হচ্ছে না।

বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজন খোলা আকাশের নীচে পোড়া ঘরবাড়িতে পলিথিন মুড়িয়ে কোন রকমের কষ্টকরভাবে দিন যাপন করছেন। মশারির ব্যবস্থা না থাকায় মশার কামড়ে অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।

—–

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More