তাইন্দং-এ পাহাড়ি গ্রামে সেটলার হামলার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের বিক্ষোভ
বক্তারা আরো বলেন, বছরের পর বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়িদের উপর চরম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হলেও পাহাড়িরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে লোগাং গণহত্যাসহ এ যাবত পাহাড়িদের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা ও সাম্প্রদায়িক হামলার কোন বিচার না হওয়ায় তাইন্দং এর মতো ঘটনা বার বার ঘটেই চলেছে। নেতৃবৃন্দ তাইন্দং এ হামলার সাথে জড়িত সেটলারদের গ্রেফতার পরে যথোপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের ক্ষতিপূরণ, তাদের জানমালের নিরাপত্তার গ্যারান্টি প্রদান ও ভারতে আশ্রিতদের সম্মানের সাথে ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
সমাবেশ থেকে বক্তারা তাইন্দং হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, এ হামলার প্রতিবাদে মহালছড়িতে পাহাড়িরা সমাবেশ করতে গেলে প্রশাসন বাধা দেয় ও মহালছড়ি সদর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। এরপরও দুপুর দেড়টায় সিন্দুকছড়ি-রাঙামাটি সড়কের চৌমুহনীতে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক সর্বানন্দ চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ঊষাময় খীসা ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের মহালছড়ি কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি জুনি মারমা প্রমুখ। নিদর্শন খীসা সমাবেশ পরিচালনা করেন।
বক্তারা তাইন্দং-এ সেটলার হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, পাহাড়িদের জায়গা-জমি বেদখল করতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে সেটলাররা এ হামলা চালিয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে পাহাড়িদের গ্রামে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তারা আগামীকাল ইউপিডিএফ’র ডাকা সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধের সমর্থন জানিয়ে এ কর্মসূচি সফল করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
অপরদিকে, মহালছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সোনারতন চাকমা প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারিকে মত প্রকাশ ও সমাবেশ করার স্বাধীনতা হরণ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি তাইন্দং এ পাহাড়িদের বসতিতে সেটলার বাঙালিদের হামলার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়া এ হামলার প্রতিবাদে দিঘীনালায়ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ইউপিডিএফ অফিসের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে থানা বাজার উপজেলা কমপ্লেক্স, লারমা স্কোয়ার, বাস টার্মিনাল ঘুরে কলেজ গেইট সংলগ্ন চৌমুহনীতে এসে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ বক্তারা অবিলম্বে হামালকারীদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং সীমান্ত পার হয়ে যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে আনা এবং তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা করার দাবি জানান।