দীঘিনালায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত
দীঘিনালা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

“পার্বত্য চট্টগ্রামে ভাতৃঘাতি সংঘাত বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, সকল জাতিসত্তার সাংবিধানিক স্বীস্কৃতি, নারী নিরাপত্তা, ভূমি অধিকার নিশ্চিত ও সম্ভ্রম রক্ষার্থে যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোন, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাক প্রেতাত্মা ও নব্য মুখোশ রাজাকারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন’ এই আহ্বানে দীঘিনালায় গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের ২১তম প্রতিষ্টাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ ৫ এপ্রিল ২০২৩, বুধবার সকালে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড টীমের পরিবেশনায় ‘আমরা করব জয়’ গানটির সাথে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন যথাক্রমে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমা ও ইউপিডিফের দীঘিনালা উপজেলা সংগঠক সুজয় চাকমা।
এরপর এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরুতে পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকারা মানুষের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে আজ পর্যন্ত যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে ও সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিটি নিরবতা পালন করা হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের দীঘিনালা উপজেলা সভাপতি জ্ঞান প্রসাদ চাকমা। যুব নেতা গৌতম চাকমার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন, ইউপিডিএফ’র দীঘিনালা উপজেলার সংগঠক সুজয় চাকমা, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পিংকু চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক সমর চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারশনের দীঘিনালা উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি মিনা চাকমা।
বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিকামী সংগঠনের অন্যতম সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আজ ২১ বছর পূর্ণ করলো। শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই সংগঠন যুব সমাজকে সংগঠিত করে শত বাধা পেরিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলের, পাহাড়ে চলমান অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে শাসকগোষ্ঠী পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের জাল বুনে তার অনুগামী বাহিনী সৃষ্টি করেছে। শাসকগোষ্ঠী ও তার দোসরদের দ্বারা সংগ্রামের ময়দানে সংগঠনের নেতা কর্মীগণ আজ পর্যন্ত বহু মামলা, হুলিয়া, জেল-জুলুম, হত্যার শিকার হয়েছে। পৃথিবীতে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস এটা বলে-কোনে জাতিকে জেলে পুড়ে, হত্যা করে আন্দোল দমন করা যায় না। যদি তাই হতো, বিশ্বে যত পরাধীন জাতি গোষ্ঠী রয়েছে তারা মুক্তি পেতো না, স্বাধীন হতে পারতো না। পাহাড়ি জনগণের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকেও দমন করা যাবে না।
তারা বলেন, যে জাতির সন্তানেরা মুক্তির লক্ষ্যে ত্যাগ স্বীকার ও জীবন উৎসর্গ করতে পারে, সেই জাতির বিজয় সুনিশ্চিত। পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র-যুব সমাজ ও মুক্তিকামী জনতাও অধিকার অর্জনের জন্য সর্বদা সোচ্চার রয়েছে।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন