দীঘিনালায় বিজিবি কর্তৃক ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের বিক্ষোভ
সিএইচটিনিউজ.কম
খাগড়াছড়ি: খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনে বিজিবি কর্তৃক ভূমি বেদখলের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
“সাম্প্রদায়িক উস্কানি বন্ধ কর, দীঘিনালায় বিজিবি কর্তৃক ভূমি বেদখল কেন? শেখ হাসিনার জবাব চাই” এই শ্লোগানে বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় খাগড়াছড়ি সদরের শাপলা চত্বর ও উপজেলা থেকে পৃথকভাবে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে উভয় মিছিল চেঙ্গী স্কোয়ারে এসে মিলিত হয়। এরপর সেখানে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক জিকু ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অংগ্য মারমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি থুইক্যচিং মারমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রিনা চাকমা।
বক্তারা দীঘিনালার বাবুছড়ায় পাহাড়ি গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করে বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন, সরকার সেনা-বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের নামে পাহাড়িদের নিজ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করে সর্বশান্ত করছে। বাবুছড়া থেকে বিজিবি কর্তৃক উচ্ছেদ হয়ে ২১ পরিবার পাহাড়ি বর্তমানে বাবুুছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। পাহাড়িদের উপর কেন এই বৈষম্য ও দমন নীতি জারি রাখা হয়েছে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে এর জবাব পেতে চাই।
বক্তারা আরো বলেন, সরকার দীঘিনালায় সাম্প্র্রদায়িক উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সেনা-প্রশাসন কর্তৃক সেটলারদের উগ্রসাম্প্রদায়িক সংগঠনকে ব্যবহার করে দীঘিনালা ভূমি রক্ষা কমিটি ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পুর্বঘোষিত আজকের শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি বানচাল করে দেয়া হয়েছে। একদিকে পাহাড়িদের উচ্ছেদ, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়িয়ে দিয়ে সরকার জনগণের ন্যায্য আন্দোলনকে দমনের চেষ্টা করছে বলেও বক্তারা অভিযোগ করেন।
বক্তারা অবিলম্বে বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর স্থাপন বাতিল করে বাবুছড়া থেকে বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার, যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক পাহাড়িদের নিজ নিজ জায়গা ফেরত দান, উগ্রসাম্প্রদায়িক সেটলার সংগঠনগুলোকে উস্কানিদান বন্ধ করা, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে আটককৃত গ্রামবাসীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও ধরপাকড় বন্ধ করা এবং ১০ জুন পাহাড়ি নারী-পুরুষের উপর হামলাকারী বিজিবি-পুলিশ ও সেটলারদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানান।
সমাবেশ শেষে মিছিলটি চেঙ্গী স্কোয়ার থেকে স্বনির্ভরে গিয়ে শেষ হয়।
———-
সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।