দুই পার্বত্য জেলায় সড়ক ও নৌপথ অবরোধ পালিত, খাগড়াছড়িতে পুলিশের গুলিতে তিন নারী সহ আহত ৬
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলা সদর সহ উপজেলাগুলোতে দূরপাল্লা ও আভ্যন্তরীণ সড়ক সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল। রাঙামাটি জেলায় নৌপথেও তেমন কোন নৌযান চলাচল করেনি।
গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি নতুন কুমার চাকমা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চলাকালীন পুলিশ বিনা কারণে সংগঠনের নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালিয়েছে। প্রশাসন সেটলারদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি এই পরিস্থিতির জন্য সম্পূর্ণভাবে সরকার ও প্রশাসনকে দায়ী করেন।
তিনি আরো বলেন, সড়ক ও নৌপথ অবরোধের কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগের জন্য সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণের ভোটে নির্বাচিত তিন সাংসদকেই দায় নিতে হবে। সরকার পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংখ্যালঘু জাতিসমূহের উপর জোর পূর্বক বাঙালি জাতিয়তা চাপিয়ে না দিলে এবং এই বিলে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন এমপি সমর্থন না দিলে এই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতো না।
তিনি বলেন, প্রশাসন ও সরকারের শত প্ররোচনা ও উস্কানী সত্বেও সাধারণ জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আপাতত কোন বৃহৎকর্মসূচী ঘোষনা দেয়া হচ্ছে না। তবে সরকার যদি তার কোন অবস্থান পরিবর্তন না করে তাহলে ভবিষ্যতে যে কোন সময় আরো কঠোর ও কঠিন কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।
বিবৃতিতে তিনি সকাল-সন্ধ্যা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় সকল যান মালিক মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
একই দাবিতে গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম গত ২৯ জুন খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে এবং তিন পাহাড়ি এমপি’র কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এর আগে ২৮ জুন চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।