নাইক্ষ্যংছড়িতে এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ

0

নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় দায়েকৃত এজাহার ও আটক অভিযুক্ত মতিউর রহমান

নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান), সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছাদু অং পাড়া এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার ভুক্তভোগীর ভাই নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ২০২৪) সন্ধ্যা ৬টার সময় এ ঘটনা ঘটে।

ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন- ১. মো. সেলিম (২৩), পিতা-নুর মোহাম্মদ ও ২. মতিউর রহমান(২৫), পিতা-নুরুল হোসেন, মাতা- খাদিজা বেগম, উভয় সাং-যৌথ খামার, ০৯নং ওয়ার্ড, ০২নং বাইশারী ইউপি, থানা-নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।

অভিযুক্তদের মধ্যে মতিউর রহমানকে পাড়ার লোকজন আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে। তবে মূল ধর্ষক মো. সেলিম পালিয়ে গেছে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বাদী বলেন, গতকাল প্রবারণা অনুষ্ঠান থাকায় তার মা সহ পাড়ার প্রায়ই লোকজন ধর্মীয় বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সন্ধ্যা আনুমানিক ৫:৪৫টার সময় তার বোন ভুক্তভোগী কিশোরী (একটু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী প্রকৃতির ও বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে না) হাত-পা ধোয়ার জন্য ছাদু অং খালের সিঁড়ি দিয়ে খালে নামার সময় উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই কিশোরীকে অনুসরণ করে। এ সময় মতিউর রহমান সিঁড়ির উপর বসে বসে পাহারা দেয় ও মো. সেলিম কিশোরীকে হাতে ধরে জোরপূর্বক খালের পাকা সিঁড়ি বরাবর অপর পাড়ের বাঁশ ঝাঁড়ে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার সময় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এজাহারে বাদী আরো বলেন, প্রতিবেশী আমারসি মার্মা(১৭) আমাকে বলে যে, আমার বোন খালে হাত-পা ধোঁয়ার জন্য খালের পাঁকা সিঁড়ির দিকে যায় কিন্তু তাকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তখন আমি দ্রুত খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে আমার বোনকে খালের পাকা সিঁড়ি বরাবর অপর পাড়ের বাঁশ ঝাঁড়ের মধ্যে বসা ও কান্নারত অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, ১ নং বিবাদী মো. সেলিম (২৩) তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে গেছে। তখন পাড়ার লোকজনদের নিয়ে ২নং বিবাদী মতিউর রহমান(২৫)-কে আটক করে বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মতিউর রহমানেকে পুলিশ হেফাজতে নেয় এবং আমার বোনের পরিধেয় বস্ত্র থামি (মার্মাদের লুঙ্গি প্রকৃতির কাপড়) ও ব্লাউজ জব্দ করে।

এজাহারে তিনি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More