নান্যাচরে আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে মানববন্ধন

নান্যাচর প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
নির্দলীয়, সৎ ও যোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবিতে রাঙামাটির নান্যাচরে মানববন্ধন করেছে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর ২০২৪) নান্যাচর টিএনটি বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লিখিত আকারে বক্তব্য পেশ করেন কলেজ শিক্ষার্থী রিমেন চাকমা ও শিক্ষার্থী পাভেল চাকমা
মানববন্ধনে রিমেন চাকমা বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার সহযোগীদেরকে এখন ও আঞ্চলিক পরিষদে বহাল রাখা হয়েছে যাতে পাহাড়ে সবসময় অশান্ত থাকে।পাহাড় অশান্ত থাকলে স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর জন্য লাভ। আপনারা জানেন ছাত্র অভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা, বিশ্ব বিদ্যালয়ের ভিসিরা, উচ্চ বদালতের বিচারকরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন মান-সম্মান বাঁচাতে। সন্তু বাবুদের ও তাই করা উচিৎ ছিল। ন্যূনতম লজ্জাও আত্নমর্যাদা থাকলে তারা বহু আগে পদত্যাগ করতেন।

তিনি লিখিত আরো বলেন, সন্তু বাবু একবার বলেছিলেন, একজন পুলিশ কনস্টেবলের যে ক্ষমতা, আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েও তার সেই ক্ষমতা নেই। কিন্তু তার পরেও কেন তিনি আঞ্চলিক পরিষদের গদি ছাড়ছেন না। সরকারের থেকে যে বরাদ্দ দেয়া হয় সেই টাকা কিভাবে কোন খাতে খরচ হয় তা আমরা জানতে চাই, হিসাব চাই। আঞ্চলিক পরিষদে ২৫-২৬ বছর ধরে কি কাজ করেছে তার জবানদিহিতা চাই। আঞ্চলিক পরিষদে বসে তিনি বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও জনগনের জন্য কোন কাজ করেননি। এজন্য আপামর জনগের দাবি যাতে আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠন করা হোক।
তিনি বলেন, পরিষদের মেয়াদ ৫ বছর কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসেন ২৫-২৬ বছর ধরে। তারা সম্পূর্ন ক্ষমতায় আসেন অবৈধভাবে। প্রতি ৫ বছর পর পর তাদেরকে সরকার পুন: নিয়োগ দিয়েছে বলে আমরা কখনও শুনিনি, সংবাদ মাধ্যমেও এ বিষয়ে কোন খবর বের হয়নি। কাজেই সন্তু বাবুরা সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আঞ্চলিক পরিষদে বসে আছেন। ১৯৯৯ সালে সেই যে তাদেরকে বসানো হলো, সেই পর থেকেই তারা আছেন সেখানে, যেন আঞ্চলিক পরিষদ তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি।
পাভেল চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের আপামর ছাত্র-জনতার ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ ও ঐক্যের দাবি সত্ত্বেও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত জিইযে রেখে শাসকগোষ্ঠির ‘জুম্ম দিয়ে জুম্ম ধ্বংসের’ ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে সেটলার বাঙালিরা আঞ্চলিক পরিষদসহ পাহাড়িদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান-ঘরবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করলেও এ নিয়ে সন্তু লারমা কোন প্রতিবাদ করেননি।
মানবন্ধন থেকে বক্তারা অবিলম্বে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর সন্তু লারমাসহ অন্যান্যদের অপসারণ করে নির্দলীয়, সৎ ও যোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানান।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।