নারী নির্যাতন-অপহরণ-চাঁদাবাজি-উৎপাত বন্ধের দাবিতে ঢাকায় ইউডব্লিউডিএফ’র সমাবেশ অনুষ্ঠিত
ঢাকা : পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে নারী নির্যাতন ও পার্বত্য চট্টগ্রামে পাকিস্তানপন্থী সেনা চক্র কর্তৃক নব্য মুখোশবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অপহরণ-চাঁদাবাজি ও উৎপাত বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউডব্লিউডিএফ)।

আজ বিকাল সোয়া ৩টায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইউডব্লিউএফ-এর সহ-সাভাপতি নতুন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ইউপিডিএফ ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক প্রতীম চাকমা, হিল উইমেন্সে ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক বরুণ চাকমা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)’র সহ-সভাপতি বিপুল চাকমা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউডব্লিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য রুমান্তু চাকমা। সভা পরিচালনা করেন ইউডব্লিউডিইফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য রজেন্টু চাকমা।

বক্তরা সম্প্রতি খাগড়াছড়ির দিঘীনালার ৯ মাইলে পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী কৃত্তিকা ত্রিপুরাকে ধর্ষণের পর নৃশংশভাবে হত্যার নিন্দা জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে উদ্বেগজনকভাবে নারী নির্যাতনের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নারী ধর্ষণ কোন সাধারণ ঘটনা নয়, এর সাথে রাষ্ট্র্রের জাতিগত নিপীড়নের পলিসি জড়িত। সমতলের সাথে পাহাড়ের নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের পার্থক্য এখানে।
তারা বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে পাহাড়ে অশান্তি জিইয়ে রেখেছে। সেখানে পাকিস্তানপন্থী সেনা চক্রটিকে দিয়ে নব্য মুখোশ বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী দলকে সাধারণ জনগণের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। এই সন্ত্রাসী দলটি প্রতিনিয়ত অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারকে অচিরেই এটা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় জনগণ এর বিরদ্ধে জনগণ রুখে দাঁড়ালে তখন সকল পরিস্থিতির জন্য সরকারই দায়ি থাকবে।
বক্তারা আরো বলেন, অধিকাংশ মিল কারখানায় নারী শ্রমিদের অমানুষিকভাবে খাটানো হয়। আসাযাওয়ার পথে এবং কর্মস্থলে প্রায়ই যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে ওভার ডিউটি করানো হয়। ঠিকমতো বেতন-ভাতা ও উৎসব বোনাস দেয়া হয় না। আশুলিয়ায় অনেক কারখানার শ্রমিকরা এখনো ঈদ বোনাস পাননি। ঈদের আগে সকল কারখানার শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেয়ার জোর দাবি জানান।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদেরও দাবি না থাকা সত্বেও শিক্ষা ও সরকারী চাকুরীতে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী বা পাহাড়িদের সংরক্ষিত ৫ শতাংশ কোটা বাতিলের চক্রান্ত করছে। বক্তারা এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, তা বাস্তবায়ন হলে অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জনগণ রাষ্ট্রীয় বৈষম্যের শিকার হবে।
সমাবেশ শেষে একটি মিছিল প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে তোপখানা রোড ঘুরে পুরান পল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
___________
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।