পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে লিফলেট

0

পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি লিফলেট প্রকাশ করেছে পানছড়ি ভ্রাতৃঘাত সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি।

‘পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দিন’ শিরোনামে গত ২১ মার্চ ২০২৩ প্রকাশিত উক্ত লিফলেটে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মহান সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু বা বৈসাবি প্রায় সমাগত। এই একটি দিনের জন্য আমরা সবাই (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ সকল পাহাড়ি জাতিসত্তা) অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু অতীতে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের কারণে আমাদের অনেক বৈসাবি উৎসব ভেস্তে গেছে অথবা ম্রীয়মান হয়েছে। অনেক সময় উৎসব শোকের সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে।

এবছরও আমরা পানছড়িবাসী ঠিকমত বৈসাবি উৎসব পালন করতে পারবো কীনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ গত ১৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সদস্যরা পানছড়িতে অনুপ্রবেশ করলে এই এলাকায় আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বস্তুত গত ১৭ মার্চ এক দফা সংঘর্ষ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। জেএসএস যদি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে না যায় তাহলে আবারও যে কোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে।

লিফলেটে “কেন গায়ে পড়ে ঝগড়া?” অংশে বলা হয়, ‘২০১৮ সালে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে একটি সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু জেএসএস সেটা লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে ইউপিডিএফের এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং পরে গত বছর (২০২২ সাল) ১১ জুন পানছড়িতে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। অথচ উক্ত হামলার আগে দুই পার্টির মধ্যে নতুন করে সংলাপের প্রক্রিয়া চলছিল এবং জেএসএসের নেতৃবৃন্দও জনসমক্ষে বার বার অঙ্গীকার করছিলেন যে, তারা ইউপিডিএফের ওপর কোনভাবে হামলা চালাবেন না। কিন্তু তারা তাদের কোন কথা, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে প্রতিপক্ষের ওপর এভাবে হামলা চালানো অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা সাধারণ জনগণ এটা কোনভাবে সমর্থন করতে পারি না।’

লিফলেটটিতে জেএসএস’র প্রতি ৯টি প্রশ্ন রাখা হয় এবং জনগণের প্রতি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের বিরোধিতা করার আহ্বান জানানো হয়।

নীচে পাঠকদের জন্য পুরো লিফলেটটি কম্পোজ করে ও ছবি আকারে দেওয়া হলো:

————

পানছড়িতে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের আগুন ছড়িয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র রুখে দিন

প্রিয় এলাকাবাসী,
আপনারা পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন। পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী মহান সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু বা বৈসাবি প্রায় সমাগত। এই একটি দিনের জন্য আমরা সবাই (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ সকল পাহাড়ি জাতিসত্তা) অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকি। কিন্তু অতীতে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের কারণে আমাদের অনেক বৈসাবি উৎসব ভেস্তে গেছে অথবা ম্রীয়মান হয়েছে। অনেক সময় উৎসব শোকের সাগরে নিমজ্জিত হয়েছে।

এবছরও আমরা পানছড়িবাসী ঠিকমত বৈসাবি উৎসব পালন করতে পারবো কীনা তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কারণ গত ১৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সদস্যরা পানছড়িতে অনুপ্রবেশ করলে এই এলাকায় আবার সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বস্তুত গত ১৭ মার্চ এক দফা সংঘর্ষ হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। জেএসএস যদি দ্রুত এলাকা ছেড়ে চলে না যায় তাহলে আবারও যে কোন সময় সংঘর্ষ হতে পারে।

কেন গায়ে পড়ে ঝগড়া?
আপনারা জানেন ২০১৮ সালে ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে একটি সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু জেএসএস সেটা লঙ্ঘন করে ২০২০ সালে ইউপিডিএফের এলাকায় অনুপ্রবেশ করে এবং পরে গত বছর (২০২২ সাল) ১১ জুন পানছড়িতে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। অথচ উক্ত হামলার আগে দুই পার্টির মধ্যে নতুন করে সংলাপের প্রক্রিয়া চলছিল এবং জেএসএসের নেতৃবৃন্দও জনসমক্ষে বার বার অঙ্গীকার করছিলেন যে, তারা ইউপিডিএফের ওপর কোনভাবে হামলা চালাবেন না। কিন্তু তারা তাদের কোন কথা, অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি রাখেনি। সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করে সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে প্রতিপক্ষের ওপর এভাবে হামলা চালানো অত্যন্ত নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ। আমরা সাধারণ জনগণ এটা কোনভাবে সমর্থন করতে পারি না।

জেএসএসের কাছে আমাদের প্রশ্ন:

১। গত ২০১৮ সালে ইউপিডিএফের সাথে আপনাদের সমঝোতা হয় যে, এক পার্টির সদস্যরা অন্য পার্টির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় যাবে না, স্ব স্ব এলাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কিন্তু সেই সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করে আপনারা কেন ইউপিডিএফের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছেন? (অভিযোগ রয়েছে যে, আপনারা ২০১৮ সালের আগের সমঝোতাও বরখেলাপ করেছিলেন।)

২। সমঝোতার শর্ত লঙ্ঘন করে ও জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে আপনারা কেন গত বছর ১১ জুন ইউপিডিএফের ওপর হামলা চালিয়েছেন? অথচ আপনারা বার বার বলে থাকেন যে, আপনারা সংঘাত হানাহানি চান না। কিন্তু আপনাদের কথা ও কাজের মধ্যে তো কোন মিল দেখা যায় না।

৩। ইউপিডিএফ গত বছর ৯ জুন সরকারের কাছে দাবিনামা পেশ করে। এই দাবিনামায় তারা আপনাদের ১৯৯৭ সালের চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিও জানিয়েছে। সরকারের কাছে দাবি পেশ করার অধিকার আপনাদের যেমন রয়েছে, তেমনি তাদেরও রয়েছে। কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না ইউপিডিএফ সরকারের কাছে উক্ত দাবি পেশ করায় আপনারা কেন এত ক্ষুদ্ধ হলেন এবং এর প্রতিক্রিয়ায় ইউপিডিএফের ওপর আক্রমণ করে বসলেন। আপনাদের যদি কোন অভিযোগ অনুযোগ থাকতো, তাহলে কি আপনারা ইউপিডিএফের সাথে আলোচনার সময় তুলতে পারতেন না? গণতান্ত্রিক পন্থায় এগুলো মীমাংসা না করে কেন আপনারা সব সময় অস্ত্রবলে নিষ্পত্তি করতে চান?

৪। আপনারা সরকারের সাথে চুক্তি করেছেন আজ ২৫ বছরের বেশী হয়ে গেলো। অথচ সরকার এখনও চুক্তি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করেনি। আপনারা কবে চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন শুরু করবেন? ইউপিডিএফের সাথে মারামারি করে থাকলে, নিজের জ্ঞাতি ভাইকে খুন করলে কি চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হবে? ভ্রতৃঘাতি সংঘাত করে আপনাদের পার্টি তথা জাতির সকল শক্তি ক্ষয় করে ফেলছেন কেন?

৫। ইউপিডিএফ বার বার বলে আসছে যে, তারা সংঘাত চায় না, তারা যৌথভাবে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চায়। আমরা নিজেরাও দেখতে পাই যে, তারা সত্যিই ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতন ইত্যাদির বিরুদ্ধে আন্তরিকভাবে আন্দোলন করছে। আপনাদের চাপিয়ে দেয়া সংঘাতের কারণে তারাও এতে সর্বশক্তি নিয়োজিত করতে পারছে না। সাধারণ জনগণের দৃষ্টিতে দেখা যায় যে, আপনারা নিজেরাও আন্দোলন করছেন না, আবার ইউপিডিএফকেও আন্দোলন করতে দিচ্ছেন না। ইউপিডিএফ চুক্তি বাস্তাবায়নের আন্দোলনেও আপনাদেরকে সহযোগিতা দেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু তারপরও কেন আপনারা আন্দোলনে যাচ্ছেন না? আপনারা কেন চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ইউপিডিএফসহ জাতির সমস্ত শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছেন না? আপনাদের কী অসুবিধা? চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলন করতে কেন এত অনীহা?

৬। বাঙালি সেটেলাররা প্রতিদিন জমি কেড়ে নিচ্ছে, মা-বোনের ইজ্জত হরণ করছে। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে নির্যাতন, অপমান ও হয়রানির মধ্যে দুর্বিসহ জীবন কাটাতে হচ্ছে। নিজ মাতৃভূমিতে অধিকারহীন হয়ে থাকতে হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী আমাদেরকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরে মেরে ফেলতে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে সীমান্ত সড়ক নির্মাণ করছে। তারপরও আপনারা কেন বোবার মতো নিশ্চুপ? কেন আপনারা ভূমি বেদখল, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন না? কেন এত অশান্তির পরও আপনাদের নেতা সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে “আপেক্ষিক শান্তি” বিরাজ করছে বলে কুয়াকাটায় সাংবাদিকদের বলেছেন? শান্তি থাকলে কেন আপনারা বনে বাদারে বিদেশের মাটিতে ঘুরে ঘুরে আছেন?

৭। বাঙালি সেটেলারদের প্রতিদিন অনুপ্রবেশ ঘটছে। তাদের দ্বারা পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। সন্তু লারমা যে শহরে থাকেন সেই রাঙামাটিও বহিরাগত বাঙালিতে ভরে গেছে, তারা এখন সেখানে বিপুলভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কোন পাহাড়ি আর রাঙামাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান হতে পারবে না। খাগড়াছড়ি শহর, বান্দরবান শহরের চিত্রও একই। এছাড়া লংগুদু, রামগড়, মানিকছড়ি, মাটিরাঙ্গা, লামা, আলিকদম, নাক্ষ্যংছড়ি উপজেলাও বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে গেছে। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি – বাঙালির অনুপাত এখন ৪৯ : ৫১। এই হচ্ছে বর্তমান অবস্থা। আগামী কয়েক বছর পর এই অনুপাত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। নিজ মাতৃভূমিতে নিজেদের জাতীয় অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যেতে দেখেও আপনারা কেন মূর্খের মতো নিজ ভাইয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে আছেন, তাও আবার যুক্তিসঙ্গত কোন কারণ ছাড়া? নিজেদের মধ্যে মারামারি হানাহানি করে থাকলে কার লাভ সেটা কী আপনারা বুঝেন না?

৮। আপনারা গত ২৪/২৫ বছর ধরে আঞ্চলিক পরিষদের ক্ষমতা (?) দখল করে আছেন? এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের জাতি ও জনগণের কী লাভ হয়েছে? আঞ্চলিক পরিষদ জাতি ও জনগণকে কী দিতে পেরেছে?

৯। গত ২৫ বছর ধরে ইউপিডিএফের সাথে সংঘাত করে জেএসএসের কী লাভ হয়েছে?

আপনারা নিজেদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগণের একমাত্র রাজনৈতিক দল বলে দাবি করে থাকেন। তাহলে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে আপনারা উক্ত নয়টি প্রশ্নের উত্তর দিন। আমাদের বক্তব্য ও প্রশ্নগুলো পড়ে আপনারা হয়তো আমাদের মধ্যে পক্ষপাতিত্ব আবিস্কার করবেন। কিন্তু এগুলো সাধারণ মানুষের মনের কথা। আমরা কোদালকে কোদাল বলতে চাই। যা সত্য, যা যুক্তিসঙ্গত তাই বলতে চাই। আমাদের কথা ও কাজ কোন পক্ষের অনুকূলে বা কোন পক্ষের প্রতিকূলে গেলো তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। আমরা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চাই না, আমরা ঐক্য চাই, অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চাই, এটাই হলো আমাদের মূল কথা।

সংঘাতের বিরোধীতা করুন
পানছড়িবাসীসহ পাবত্য চট্টগ্রামের আপামর জনগণকে বলতে চাই, আপনারা যে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চান না সেটা স্পষ্ট করে বলে দিন। জেএসএস নেতৃত্বের কাছে উক্ত নয়টি প্রশ্ন করুন। এসব প্রশ্নের উত্তর জানার অধিকার আপনাদের রয়েছে। আপনাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কারও নেই। আমরা সাধারণ জনগণ নীরব থাকলে কখন সংঘাত বন্ধ হবে না। রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের স্বার্থ বিরোধী কাজ করবে, আর আমরা চুপ থাকবো, তা হতে পারে না। যে দল জনগণের পক্ষে কাজ করে না, যে দল সংঘাত চায় সে দলকে প্রত্যাখ্যান করুন। সে দলকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন। অপরদিকে যে দল জনগণের পক্ষে কাজ করে, যে দল সংঘাত চায় না, যে দল ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে লড়াই করে, সে দলকে মনেপ্রাণে সমর্থন করুন, সে দলকে সহযোগিতা দিন। তথাকথিত নিরপেক্ষ হয়ে থাকার দিন আর নেই। সংঘাত বিরোধী সকল দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের জন্য সংগ্রাম করতে হবে।

তাই আসুন একসাথে আওয়াজ তুলি:

– ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ কর, আন্দোলন শুরু কর।
– জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ কর।
– যারা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চায়, তারা জাতির শত্রু।
– ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত করে শত্রুকে লাভবান করবেন না।
– সরকারের পাঁতানো ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসুন।

যারা জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে কাজ করে তারা কোনদিন সফল হবে না। একদিন ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ হবেই হবে। সবাইকে বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু বা বৈসাবির আগাম শুভেচ্ছা। আসুন বৈসাবি যাতে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারে তার জন্য সংগ্রাম করি।

পানছড়ি ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত প্রতিরোধ কমিটি

পা.ভ্রা.স.প্র.ক কর্তৃক প্রকাশিত। ২১ মার্চ ২০২৩।




সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।


সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More