পানছড়িতে ৪ গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনীর হয়রানিমূলক তল্লাশি, জনমনে আতঙ্ক

0

পানছড়ি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার তারাবন এলাকায় ৪ গ্রামবাসীর বাড়িতে সেনাবাহিনী হয়রানিমূলক তল্লাশি চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকার জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর ২০২৪) রাতে তারাবন এলাকার লাম্বু পাড়া (গীর্জা) ও পেট্টুয়া পাড়ায় এ তল্লাশির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় তারা হলেন- ১. অন্তর চাকমা (৩২), পিতা- তরুন বিকাশ চাকমা, গ্রাম-লাম্বু পাড়া (গীর্জা), ৫ নং ওয়ার্ড, ২ চেঙ্গী ইউনিয়ন; ২. প্রিয় লাল চ্কমা (৪০), পিতা- মৃত জ্ঞান কুমার চাকমা, গ্রাম- ঐ; ৩. দুলাল চ্কমা (৬০), পিতা- রত্নসেন চাকমা, গ্রাম- ঐ এবং ৩. সুনান্টু চাকমা (২৬), পিতা- গুরি চাকমা, গ্রাম- পেট্টুয়া পাড়া, ৬নং ওয়ার্ড, ২ চেঙ্গী ইউনিয়ন।

স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাত অনুমানিক ১০টার সময় খাগড়াছড়ি সদর জোনের অধিনায়ক আবুল হাসানত জুয়েল, পানছড়ি সাবজোনের ক্যাপ্টেন নাহিদ ও অয়ন-এর নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন সেনা সদস্য কয়েকটি টীমে ভাগ হয়ে ‘ইউপিডিএফ সদস্য’ খোঁজার নামে পানছড়ি উপজেলার তারাবন এলাকায় লাম্বু পাড়া (গীর্জা) ও পেট্টুয়া পাড়ায় হানা দেয়। এ সময় সেনারা উক্ত চার গ্রামবাসীর বাড়িতে হয়রানিমূলক তল্লাশি চালায়।

তল্লাশিকালে সেনারা ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে ‘তাদের বাড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যরা থাকে এবং তারা ইউপিডিএফকে তথ্য সরবরাহ করে’ বলে অভিযোগ আনে। তবে তল্লাশি চালিয়ে ইউপিডিএফ সদস্য কিংবা অবৈধ কোন কিছু না পেয়ে পরে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে সেনা সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়।

তবে চলে যাবার সময় সেনারা অন্তর চাকমা ও প্রিয় লাল চাকমাকে আজ (২১ ডিসেম্বর) সকালে পানছড়ি সাবজোনে হাজির হয়ে জনৈক মেজরের সাথে দেখা করতে নির্দেশ দিয়ে যায়।

এদিকে, সাধারণ গ্রামবাসীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে এ ধরনের হয়রানিমূলক তল্লাশির ঘটনায় এলাকার জনগণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ থেকে পানছড়ি সাবজোনের একদল সেনা সদস্য তারাবন এলাকায় এবং লোগাঙ ইউনিয়নের হারুবিল ও ডুমবিল এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More