পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে ধরপাকড় বন্ধসহ খুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে রামগড়ে বিক্ষোভ

রামগড় প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শনিবার, ৩ আগস্ট ২০২৪
পার্বত্য চট্টগ্রামসসহ সারাদেশে ধরপাকড় বন্ধ, ইউপিডিএফ নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমা, কুনেন্টু চাকমাসহ আটক ছাত্রদের মুক্তি এবং ইউপিডিএফের ৩৬৭ জন নেতাকর্মী খুনের ঘটনাসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি বর্ষণ ও খুনের ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবিতে খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইউপিডিএফভূক্ত তিন সংগঠন।
আজ শনিবার (৩ আগষ্ট ২০২৪) সকাল ১০টায় রামগড়ের যৌথ খামার এলাকায় খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম রামগড় উপজেলা শাখাসমূহ যৌথভাবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।
প্রথমে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলের পর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।


সমাবেশে গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের রামগড় উপজেলা শাখা সভাপতি লিটন চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, রামগড় উপজেলা সভাপতি বাহাদুর ত্রিপুরা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের রামগড় উপজেলা শাখা সভাপতি গুলোমনি চাকমা।
ছাত্রনেতা অমল ত্রিপুরা বলেন, এদেশের ছাত্র-জনতা স্বৈরাচারী এরশাদকে উৎখাত করেছিল। তিনি বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যদি দমন-পীড়ন, নির্যাতনের পথ বেছে নিয়ে শিক্ষার্থী-জনতার চলমান আন্দোলন দমন করতে চান তাহলে আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। শত দমন-পীড়ন, হত্যাকাণ্ডের পরও দেশে ছাত্র-জনতার যে মিছিল তার প্রমাণ দিচ্ছে।
তিনি বলেন সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশকে একটা কারাগারে পরিণত করেছে। তাই শিক্ষার্থী-জনতার দাবি মেনে ও হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

অন্যান্য বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শুধু পার্বত্য চট্টগ্রামে নয়, সমতলেও ন্যায়সঙ্গত দাবিতে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের ওপর হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীসহ ছাত্রলীগ, যুব লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের ওপর লেলিয়ে দিয়ে স্মরণকালের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, নির্বিচারে গণগ্রেফতার চালাচ্ছে।
সমাবেশ থেকে বক্তারা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে অন্যায় ধরপাকড় বন্ধ করে ইউপিডএফের কেন্দ্রীয় নেতা আনন্দ প্রকাশ চাকমা, পিসিপি নেতা কুনেন্টু চাকমাসহ আটক ছাত্রদের মুক্তি এবং ইউপিডিএফের নেতা-কর্মী খুনের ঘটনাসহ দেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে খুনের ঘটনায় আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানান।
মিছিল ও সমাবেশে “পাহাড় ও সমতলে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ কর; পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে ধরপাকড় বন্ধ কর; কুনেন্টু চাকমাসহ আটককৃত ছাত্রদের মুক্তি দাও; অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হল খুলে দাও; কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলি বর্ষণ ও খুনের আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই; ৩৬৭ জন ইউপিডিএফ নেতাকর্মী হত্যার আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই; নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক গুম মাইকেল চাকমার সন্ধান চাই; কল্পনা চাকমা অপহরণের আন্তর্জাতিক তদন্ত চাই; যে বাহিনী পাহাড়ি মারে, সে বাহিনী সমতলে গুলি করে” ইত্যাদি শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।