বিশেষ সম্পাদকীয়

পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বিচার মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধের দাবি জানাই

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। নির্বিচারে গুলি চালিয়ে নিরীহ নিরপরাধ জুম্ম হত্যা, জখম, গ্রেফতার, শারীরিক নির্যাতন, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে বন্দী রাখা, হয়রানি, অপরহণ ও মুক্তিপণ আদায়, নারীর উপর যৌন হামলা, ধমীর্য় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, ভূমি বেদখল ইত্যাদি এখন হরহামেশা ঘটে চলেছে। মূলত: রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী এবং সেটলাররাই হলো এর জন্য দায়ি।

জানা যায়, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাদের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোকে ইউপিডিএফ ও তার সমর্থক সাধারণ জনগণের উপর হামলা চালানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে। সে কারণে ইদানিং তারাও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মককাণ্ড বৃদ্ধি করেছে এবং নানাভাবে রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে সহযোগিতা দিচ্ছে।

মুলত: খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলাধীন পঙ্খীমুড়োসহ বিভিন্ন এলাকায় ভূমি বেদখলের বিরুদ্ধে এবং জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের দাবিতে যাতে ব্যাপক গণআন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। এসব ভূমি বেদখলের ঘটনা থেকে সাধারণ জনগণের দৃষ্টি অন্যখাতে ঘুরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যও এতে রয়েছে।

তবে তাদের অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত নতুন করে বাঁধিয়ে দেয়া। এজন্য তারা তাদের সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যবহার করে ইউপিডিএফ-এর উপর আঘাত হানতে শুরু করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘাত জিইয়ে থাকার মধ্যে তাদের স্বার্থ রয়েছে– তারা এই পরিস্থিতিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের অব্যাহত উপস্থিতি এবং নতুন করে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প বৃদ্ধির জন্য যৌক্তিকতা হিসেবে তুলে ধরতে পারে।

আমরা অচিরেই মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাই।


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More