পার্বত্য চট্টগ্রামে ‘পাকিস্তানি আগ্রাসন দিবসে’ ঢাকায় পিসিপির আলোচনা সভা

0

সিএইচটিনিউজ.কম
Dhaka20.08.2014ঢাকা: পাকিস্তান কর্তৃক ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে আগ্রাসন চালানোর ৬৭তম বার্ষিকীতে আজ ২০ আগস্ট : বুধবার বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর ঢাকা শাখার উদ্যোগে ঢাকায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ছাত্র ও যুব সমাজ সংগঠিত হোন, ভূমি বেদখল সহ সকল আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে  প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ এই আহ্বান সম্বলিত শ্লোগানে পিসিপি ঢাকা শাখার সভাপতি ত্রিশঙ্কু খীসার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সদস্য রণেল চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেত্রী ইডেন কলেজের ছাত্রী কইংজনা মারমা অংশ নেন। সভা সঞ্চালনা করেন বিনয়ন চাকমা।

সভায় বক্তারা ১৯৪৭ সালে কিভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাকিস্তানের আগ্রাসনের শিকার হয় সংক্ষেপে তার বৃত্তান্ত তুলে ধরে উপনিবেশিক ব্রিটিশ সরকারের সমালোচনা করেন। ‘ভারত স্বাধীনতা আইন ১৯৪৭’ অনুসারে পার্বত্য চট্টগ্রাম কোন অবস্থাতেই পাকিস্তানের অংশে পড়ার কথা ছিল না। পার্বত্য চট্টগ্রামে তখন শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি সংখ্যক লোক ছিলেন অমুসলিম। অন্যদিকে ‘দ্বি-জাতি’ তত্ত্বের ভিত্তিতে সৃষ্ট পাকিস্তানের মূল দর্শনই ছিল ইসলাম। পাকিস্তান বেলুচ রেজিমেন্ট পাঠিয়ে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে আগ্রাসন চালিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করে নিয়েছিল। পাহাড়ি জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল জোর জবরদস্তি ও অন্যায় শাসন-শোষণ। বর্তমানে ভূমি বেদখল, জায়গা-জমি বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া উক্ত আগ্রাসনেরই ধারাবাহিক রূপ বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রকৃত আন্দোলনকারী সংগঠন ও সঠিক নেতৃত্ব থাকত, তাহলে পাহাড়ি জনগণের ভাগ্য অন্য রকম হতে পারত। ১৯৯৭ সালের চুক্তিরও সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক অপরিণামদর্শিতা এবং ‍সুবিধাবাদী লাইন অনুসরণের কারণে শাসকচক্রের নিকট আত্মসমর্পণ ও সংগ্রাম পরিত্যাগের ফলে বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের করুণ দশা হয়েছে। এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্র ও যুব সমাজকে যুগের দাবিতে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে যুক্ত হতে হবে বলে বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন।
—————

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More