পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ও সেনাশাসন তুলে নেয়ার দাবিতে কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ

0


রাঙামাটি প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

‘অবিলম্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা দমন-পীড়ন বন্ধ কর, অপারেশন উত্তরণ তুলে নাও’ এই দাবি সম্বলিত শ্লোগানে ‘সেনা স্কুল ভবন দখল করে ‘অস্থায়ী ক্যাম্প’ বানানো, নির্বিচারে বাড়িঘরে তল্লাশি, নারীদের সঙ্গে অসদাচরণ, লুটপাট, ধরপাকড়, হয়রানি, স্কুলের কার্যক্রম ব্যাহত করা ও অবর্ণনীয় জনদুর্ভোগ সৃষ্টির প্রতিবাদে রাঙামাটির কুদুকছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ এই বিক্ষোভের আয়োজন করে।

আজ সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকাল ৩ টার সময় কুদুকছড়ি নির্বাণপুর বনবিহার গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক হয়ে কুদুকছড়ি বাজার এলাকা ঘুরে বড়মহাপূরম স্কুল গেইটে এসে সমাবেশ করা হয়।

সমাবেশে ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নতুন জয় চাকমার সভাপতিত্বে ও সদস্য শ্যামল কার্বারীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন কুদুকছড়ি এলাকার বিশিষ্ট মুরুব্বি পলাশ চাকমা, ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদের সহসভাপতি তেরেসা  চাকমা ও অর্থ সম্পাদক হরি মোহন কার্বারী।


সমাবেশে বক্তারা বলেন, চব্বিশের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও গণতান্ত্রিক অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার আশা করেছিলাম। কিন্তু ফ্যাসিট হাসিনা পতন হলেও এখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন চলমান রয়েছে। প্রতিনিয়ত ধরপাকড় ও অস্ত্র উদ্ধারের নাম দিয়ে নিরীহ জনগণের বাড়িতে লুটপাট, ঘরবাড়ি তল্লাশি ও নারীদের সাথে অসদাচরণ ও স্কুল, কলেজের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প তৈরি করে স্কুল কলেজের কার্যক্রম ব্যাহত করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

বক্তাদের অভিযোগ করে বলেন, সেনাবাহিনীর নিপীড়নের ভয়ে অনেকে রাঙামাটি যেতে পারছে না, অনেকে কুদুকছড়ি বাজারে আসতে পারছে না। এটা কেন হবে? সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে নাগরিকদের নিরাপত্তা প্রদান করা। কিন্তু সেই রাষ্ট্রীয় বাহিনী যদি নাগরিকের নিরাপত্তার হুমকি হয় তাহলে তারা যাবে কোথায়?


বক্তারা অন্যায় দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সবাইকে সভা-সমাবেশে অংশ নিয়ে আন্দোলনে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের হাজার হাজার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া আমাদের আর কোন বিকল্প নেই।

তারা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকারের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনের লক্ষ্যে সাধারণ জনগণের ওপর দমন-পীড়ন আর জনগণ মেনে নেবে না। ছাত্র-জনতার সংগ্রাম পরিষদ জনগণকে সংগঠিত করে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

সমাবেশ থেকে অবিলম্বে অপারেশনের নামে তল্লাশি, লুটপাট, বিনা কারণে গ্রেফতার বন্ধ করা, যেসব টাকা ও দলিলপত্র লুট করা হয়েছে সেগুলো ফেরত দেওয়া, প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী পত্যাহার ও সমতলের মত পাহাড়ে ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি করার দাবি জানানো হয়।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More