পার্বত্য চট্টগ্রাম সামরিক শাসিত অঞ্চল, শূণ্যের কোটায় গণতন্ত্র!!

0

immmmmmmmmmmmmmএ.এম.মিলন।।

অনেক দিন ধরে লেখা-লেখিতে মনোযোগ দিতে পারছি না। লিখতে বসলেই যেন, প্রতিটি শব্দ নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বলতে চায়। তাই ভয় হয়। কারণ নির্যাতনকারীরা যে অনেক শক্তিশালী। তাদের স্বপক্ষে কথা না বললেও যেন বিপক্ষে কোন যু্ক্তি তুলে না ধরি। এটাও একটা অলিখিত আইন। ক্ষমতাবানদের বিপক্ষে যাওয়া মানে নিশ্চিত বিপদ ডেকে আনা। আজো কি তেমনটাই হবে।

পাহাড়ে কিংবা সমতলে বিপন্ন মানুষগুলোর উপর অন্যায় আর অত্যাচারের করুণ ইতিহাস কলমের ডগায় পত পত করে বের হতে থাকে। বিশেষ করে পাহাড়ের বিষয় যখন আসে তখন তো কথাই নেই।

কিন্তু,

সব কথা বলতে নেই,

সব কথা বলা যায় না।

যেখানে অত্যাচার হয়, নির্যাতিত হয়, নিষ্পেষিত জাতিগুলোকে অন্যায় আবদার মেনে নিতে হয়, নতুবা রমেলদের মত করুণ পরিণতি বরণ করে নিতে হয়। অথবা কল্পনা চাকমাদের মত অন্তহীন পথের যাত্রী হয়ে আজীবনের তরে হাড়িয়ে যেতে হয়। এগুলোই প্রতিনিয়ত ঘটছে ‘পাহাড় থেকে পাহাড়ে অত্যাচারের খড়গ নামে তৃণমুলে’।

রমেল চাকমা বড় কোন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়। অথবা বাংলাদেশের জঙ্গীবাদের সাথে হাত মিলিয়ে দেশের সর্বোভৌমত্ত্ব বিনষ্টে রাজনৈতিক অরাজগতা তৈরি করছে সেটারও কোন প্রমাণ এখন পর্যন্ত কেউ দিতে পারেনি। তাহলে কেন তাকে ধরে এনে আটকের নামে নির্যাতনের করে মেরে ফেলা হল, কি ছিল তার অপরাধ..?

থানা বলছে, ( নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন)

‘‘রমেলকে আমরা গ্রেপ্তার করব কেন? তার নামেতো কোনো মামলা নেই৷ তাকে কারা আটক করেছে সেটা আর্মির অফিসাররা বলতে পারবেন৷ তাকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হাসপতালে ভর্তি করেন৷ প্রথমে নানিয়াচর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়৷ তারপর চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়৷”

কোন অভিযোগ না থাকায় পুলিশ যদি রমেল চাকমাকে আটক না করে থাকে তবে কোন বাহিনী তাকে আটক করেছিল..? গণতান্ত্রিক দেশে পুলিশ ছাড়া তো অন্যকেউ দেশের সাধারণ নাগরিককে আটক করার ক্ষমতা রাখে না। তাহলে কোন বিশেষ বাহিনী রমেল চাকমাকে আটক করলো..? এটা সবাই জানে।

আটক তো হয়েছিল, তবে কি অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছিল? আর আটক হওয়ার পর একজন সুস্থ মানুষকে কেনই বা সুন্দর এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হল।

বসুধার এই অমৃত সুধা পান করার আগেই মাত্র ঊনিশ-বিশ বছরের মধ্যে তাকে চলে যেতে হল বহু দুরের অন্য এক পৃথিবীতে। যেখানে শুধু যাওয়া অনুমতি আছে কিন্তু ফেরত আসর আর কোন পথ অবশিষ্ঠ থাকে না।

গণতান্ত্রিক দেশে বিশেষ এক বাহিনী কর্তৃক আটক হওয়ার পর তাদের নির্যাতনে রমেল চাকমার মৃত্যুর অভিযোগ কেন উঠবে ? বস্তুত কাদের নির্যাতনে রমেল চাকমার মৃত্যু হয়েছে…?  এটা কি সবাই জানে..?

আসলে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে দুই শাসন চলে আসছে বহু বছর ধরে।

১. একটি হল পার্বত্য চট্টগ্রামে শামরিক শাসন আর অন্যটি হল

২. সমতল ভুমিতে যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে সেই সরকারের কর্তৃক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকার। এক দেশে দুই শাসন…! কেন…?

সরকার পাহাড়কে ভয় পায় নাকি পাহাড়িদেরকে..? সেনাবাহিনীর সহযোগীতা না নিলে যদি পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে আলাদা হয়ে যায়, সেই ভয়…?

পাহাড়ে সেই বিশেষ বাহিনীর কোন হীন চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সহযোগীতা নিয়ে তারা সেটার বাস্তবায়নের চেষ্ঠা করছে কি ?নাকি সরকারে কোন চক্রান্ত..? হলে হতেও পারে, পাহাড়ে যে ভাবে পর্যটনের নামে পাহাড়ি উচ্ছেদ করা হচ্ছে সেভাবে হতে থাকলে তো আগামী ১৫-২০ বছরের মধ্যে পাহাড়ে আর পাহাড়ি থাকবে না। সমস্ত পাহাড় বাঙ্গালীতে পরিণত হব।

সেখানে প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্র সেনা নিয়ন্ত্রিত। পুনর্বাসনের নামে বাঙ্গালী অনুপ্রবেশের নীল নকশা তৈরি হয়ে আসছে সাবেক রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামল থেকে। তখন প্রায় এক লক্ষ বাঙ্গালীকে পাহাড়ে অনুপ্রবেশ করানো হয়েছিল। অর্থাৎ পাহাড়ে পাহাড়িদেরকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করাই যেন বাংলাদেশের প্রতিটি সরকারের গোপন মিশন হয়ে আসছে বহু বছর ধরে। তার জলন্ত প্রমাণ বঙ্গবন্ধু নিজেই।

১৯৭২ সালে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল জাতির জনকের কাছে গিয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসনের জন্য একটি প্রস্তাব নিয়ে। তখন বঙ্গবন্ধু তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়।

আর বলেন,”না, আমরা সবাই বাঙ্গালী, আমাদের দুই ধরণের সরকার ব্যবস্থা থাকতে পারেনা।” তিনি আরো যা বলেছিল তা হল,”তোমরা তোমাদের জাতীয় পরিচয় ভুলে যাও এবং বাঙ্গালী হয়ে যাও”

বঙ্গবন্ধুর মুখে এই ধরনের কথা কিভাবে বের হল..! তিনি কি বিষয়টা চিন্তা করে বলেছিলেন…?

বেয়াদবি হলে ক্ষমা করবেন, ” তাকে (বঙ্গবন্ধুকে) যদি বলা হত, আপনি বাঙ্গালী পরিচয় ভুলে চাকমা হয়ে যান তিনি কি সেটা গ্রহণ করতেন..? পারতেন না। কারণ কোন জাতি চাইলেই তার নিজস্ব সত্তা ভুলে অন্য জাতি হতে পারবেনা।

জাতির জনক এক দেশে দুই ধরণের সরকার ব্যবস্থা না থাকার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে ছিলেন কিন্তু বর্তমানে তো তাই হচ্ছে…? পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা শাসন আর দেশের অন্যান্য স্থানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা।

ইতিহাস সাক্ষী আছে, বঙ্গবন্ধু পাহাড়ি প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক সেনা তৎপরতা শুরু হয়। সেনা, বিমান, আর পুলিশ বাহিনীর সমন্বয়ে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আক্রমণ করে। এবং সেই আক্রমণে কয়েক হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু নিহত হয়।

বর্তমানে পর্যটনের নামে চলছে আগ্রাসন। আর যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরকে বিশেষ বাহিনী কর্তৃক আটকের পর চালানো হচ্ছে নির্যাতন। এর বাস্তব প্রমাণ হলো, সাজেক। সেখানে পর্যটনের নামে তৈরি করা হয়েছে সাজেক ভ্যালী। আর উচ্ছেদ করা হয়েছে ৫০টিরও অধিক আদিবাসী কুকি পরিবারকে। যারা পুনর্বাসনের নামে পত্যাখাত হয়েছে সাজেক থেকে।

দিঘীনালায় বিজিবি’র সদর দফতর করার নামে ১৯ টি [২১টি] পাহাড়ি পরিবার কে উচ্ছেদ করা হয়েছে। যারা এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে। জমি-জমা হাড়িয়ে নি:স্ব পাহাড়িরা দিনমজুরি করতে বাধ্য হচ্ছে অন্যের জমিতে। কিন্তু এটা তো কথা ছিলনা ?

এভাবে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে অনেকগুলো আদিবাসী পাড়া উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। এটা কি বিশেষ বাহিনীর কোন হীন উদ্দেশ্য, নাকি সেই বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে সরকারের নীল নকশা বাস্তবায়নের কোন একটি কৌশল..? প্রশ্ন থেকে যায়।বিশেষ বাহিনীর কোন হীন উদ্দেশ্য অথবা পাহাড়িদেরকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করা অপচেষ্ঠা সরকারের নতুন কৌশল নয়।

সেটা যাই হোকনা কেন, এই দুটোর মধ্যে যে কোন একটিও যদি সত্য হয় তবে ধরে নিতে হবে একটি গণতান্ত্রিক দেশে দুটো আইন প্রয়োগের মাধ্যমে পাহাড়িদের সংখ্যালগুতে পরিণত করার চেষ্ঠা চলছে প্রতিটি সরকারে শাসনামলে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে বার বার বলে আসছেন, বিগত সময়গুলোতে দেশে শামরিক শাসনের কারণে দেশ অনেক পিছিয়ে পরেছে। যদি তাই হয় তাহলে পার্বত্য চট্রগ্রামে কেন এই শামরিক শাসন চলছে..?

প্রধানমন্ত্রী কি তাহলে পার্বত্য চট্রগ্রামোর উন্নয়নে বিশ্বাসী নন? যদি নিতান্তই তিনি পাহাড়ের উন্নয়ন করতে চান তবে সেখান থেকে কেন সেনা প্রত্যাহার করে গণতন্ত্রের সঠিক প্রয়োগ করছেন না, ভয় কিসে..?

সামরিক শাসন থাকলে তো পাহাড়ে কোন দিনও উন্নয়ন হবে না। শুধু সেনা নিষ্পেষণে মরতে হবে সাধারণ পাহাড়িদের। যেমটা ঘটেছে রমেল কিংবা কল্পনা চাকমাদের ক্ষেত্রে।

প্রধানমন্ত্রী সত্যিই কি পাহাড়ীদেরকে ভয় পান…? পাহাড়িরা কি সত্যিই বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন কোন দেশ গড়তে চায় ?

পাশের দেশ ভারতে কিন্তু অনেকগুলো অঙ্গ রাজ্য আছে যেগুলো মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। যেমন, গারো পাহাড় অধ্যুষিত মেঘালয়ে আছে গারো, খাসিয়াসহ অন্যান্য বেশ কিছু জাতির বসবাস।

আসামে আসামীজ, হিন্দু, মুসলিমসহ অন্যান্য জাতির বসবাস।

নাগাল্যান্ড এ আছে নাগা জাতির বসবাস, মনিপুরে আছে মনিপুরি, ত্রিপুরাতে আছে ত্রিপুরা চাকমা বাঙ্গালীসহ বেশ কিছু জাতি, মিজোরামে আছে মিজো জাতি।

অরুণাচল প্রদেশে চাকমা সহ বেশ কিছু জাতির বসবাস। যেখানে তাদের জন জীবনকে আলাদা অঙ্গ রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত দেওয়া হয়েছে।

আমি সেভেন সিস্টারের প্রায় সবগুলো প্রদেশে ঘুরে এসেছি। সেখানে সময় দিয়েছি। অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু, কই সেখানে তো ৭ টি (সেভেন সিস্টার) প্রদেশের কেউ চীন, মিয়ানমার অথবা বাংলাদেশী হিসেবে নিজেদেরকে উত্থাপন করছে না। নিজেদেরকে ভারতীয় হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ভবোধ করে। পার্বত্য চট্টগ্রামেও তো একই ভাবে নিজেদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথা। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৯০০ সালের আইনটি বাস্তবায়ন হলে সমস্যা কোথায়?

তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিতে, নিজস্ব ভাষাতে, নিজস্ব কৃষ্টিতে নিজেদেরকে মেলে ধরার সুযোগ দেওয়া থেকে আমরা কেন তাদেরকে বঞ্চিত করছি। আর প্রতিনিয়ত নির্যাতন করে যাচ্ছি পাহাড়ের সহজ সরল মানুষগুলোকে। যার সর্বশেষ উদাহারণ হল রমেল চাকমা। অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয় তাকে।

যেখানে অভিযোগ পাওয়া যায়, প্রতিনিয়তই সেটলার বাঙ্গালী কর্তৃক পাহাড়ি নারী ধর্ষণ হচ্ছে, সেটলার কর্তৃক জমি দখল করে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে।

যেখানে উচ্ছেদ হওয়া পাহাড়িদের পরিত্যাক্ত জমিতে বাঙ্গালীদেরকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে সরকারি বেশ কয়েকটি বাহিনীর পরোক্ষ সহযোগীতায়।

যেখানে মানবতা থমকে দাড়ায়, তার নামই পার্বত্য চট্রগ্রাম।  এখানে মানব ধর্ম বলতে কিছুই নেই আছে শুধু অত্যাচারে খড়গ।

যেখানে বহিরাগত সেটেলারদের আক্রমণে নিরীহ আদিবাসী জুম্ম নিঃস্ব হয় তার নাম পার্বত্য চট্রগ্রাম,

যেখানে নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনীর অবৈধ রাজত্ব চলে তার নাম পার্বত্য চট্রগ্রাম,

যেখানে পবিত্র ধর্মীয় উপাসনালয় ভাংচুর করা হয় তার নাম পার্বত্য চট্রগ্রাম,

যেখানে পবিত্র বুদ্ধ মূর্তি ভেংগে দেওয়া হয় তার নাম পার্বত্য চট্রগ্রাম,

যেখানে ধর্মীয় গুরুর উপর হামলা হয় তার নাম পার্বত্য চট্রগ্রাম। এ যেন মগের মুল্লুককেও হার মানায়।

আমাদের সেনাবাহিনী দেশের জাতীয় সম্পদ, তাদের হাত ধরেই বিশ্বে বাংলাদেশ আজ মহা সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের বড় বড় সব দুর্যোগে সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। জাতিসংঘ সহ বিশ্বের অনেক জায়গাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অনেক সুনাম রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশে কি তারা সুনামের পরিবর্তে বদনাম অর্জন করবে…?

আমাদের বিশ্বাস রাজনৈতিক চাল হাসিলের হাতিয়ার হয়ে জাতি ধ্বংসের নীল নকশায় সেনাবাহিনী কখনো তাদের ঐতিহ্যকে বিলিয়ে দিবেন না।

রমেল চাকমা সেনা সদস্যদের নির্যাতনে মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ৷ সেনাবাহিনীর তাঁকে আটকের কথা স্বীকার করলেও নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷আর পুলিশ বলছে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে সেনা সদস্যরা৷

”এদিকে “আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লে. কর্নেল রাশেদুল হাসান এক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘গত পাঁচ এপ্রিল তাকে ট্রাক পোড়ান এবং বাস লুটের মামলায় সেনা সদস্যরা আটক করেন এবং ওই দিনই (পাঁচ এপ্রিল) তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়৷ এরপর পুলিশের তত্ত্বাবধানে তিনি পরবর্তী ১৪ দিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন৷ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল তিনি মারা যান৷ সেনাবাহিনীর নির্যাতনে তিনি মারা গেছেন বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়, সত্য নয়৷”

আর পুলিশ বলছে ‘‘আমরা রমেলকে আটক করিনি এবং হাসপাতালেও ভর্তি করিনি৷”

তাহলে গড়মিলটা কোথায়..? যদি সেনা সদস্যরা রমেল চাকমাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন নাই করে তবে ছেলেটি মারা গেল কিভাবে ?

ধরে নেওয়া যাক পুলিশ রমেল চাকমাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। যদি তাই হয় তবে সেনাবাহিনী কেন রমেল চাকমার পরিবারের কাছ থেকে লাশ ছিনিয়ে নিয়ে গেল? এবং কেউ কেউ বলেছে যে বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতি নীতি না মেনে লাশের উপর পোট্রোল ঢেলে দিয়ে সেনাবাহিনী নিজেই নাকি লাশটি পুড়িয়ে দেয়। একটি লাশ নিয়ে এটা কোন ধরণের রসিকতা ?

যদি সেনাবাহিনী কর্তৃক লাশ পুড়ানোর ঘটনা সত্য হয় তবে লাশ পুড়ানোর দায়িত্ব কি সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছিল তার পরিবার থেকে..?

প্রশ্ন অনেক আপাতত উত্তর জানা নেই। আমাকে আবার কি পরিমাণ প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষাতে ।

লেখক: এ.এম.মিলন,
সম্পাদক, আদিবাসী বার্তা,
[email protected]
——————-
সিএইচটি নিউজ ডটকম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More