পিসিপি’র বাঘাইছড়ি থানা শাখার কাউন্সিল সম্পন্ন

0

সিএইচটিনিউজ.কম
বাঘাইছড়ি: “দালালি, লেজুড়বৃত্তি ও সকল প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে রুখে দাড়াও, রাঙামাটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ সোচ্চার হও” এই শ্লোগানে দলীয় সংগীত ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি) বাঘাইছড়ি থানা শাখার ৩য় কাউন্সিল ও ছাত্র সমাবেশ আজ ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় বাঘাইছড়ি উপজেলার রূপকারী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে সোহেল চাকমাকে সভাপতি, আসেন্টু চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক ও  শুভদর্শী চাকমাকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট বাঘাইছড়ি থানা শাখার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। নতুন কমিটিকে শপথবাক্য পাঠ করান পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক বিপুল চাকমা।

কাউন্সিল উপলক্ষে অনুষ্ঠিত ছাত্র সমাবেশে পুরাতন কমিটির সভাপতি নিউটন চাকমার সভাপতিত্বে ও সোহেল চাকমার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ) সাজেক ইউনিট সমন্বয়ক মিঠুন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার আহ্বায়ক জিকো ত্রিপুরা, পিসিপি কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অংকন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক মেনাকি চাকমা, রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পারদর্শী চাকমা, হেডম্যান বিশ্বজিৎ চাকমা ও পার্বত্য নারী সংঘের সদস্য মুক্তসোনা চাকমা প্রমুখ।PCP Baghaichari pic 29.09.2014-2014

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের প্রতি বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণ করে যাচ্ছে। পার্বত্য জুম্ম জনগণের সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিগণের সাথে সরকার কোনো আলোচনা পরামর্শ না করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে নানা ধরণের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। মেডিক্যাল কলেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্তও সরকার নিজের মনোমতই নিয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক ও সামাজিক-শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি-সংগঠনের সাথে আলোচনা পরামর্শেও প্রয়োজন সরকার বোধ করেনি।

বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জনগণের সত্যিকারের ভালো চাইলে সরকার এই পরামর্শ গ্রহণ করতো। আওয়ামীলীগসহ কোনো শাসকগোষ্ঠীই পার্বত্য জুম্ম জনগণের সত্যিকার কল্যাণ ও উন্নতি চায় না বলে তাঁরা মন্তব্য করেন।

সমাবেশে থেকে  বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পার্বত্য জনগণ এখনো প্রতীকীভাবে প্রতিবাদ সংগ্রাম করে যাচ্ছে কিন্তু এভাবে নির্যাতন নিপীড়ন অত্যাচার ভূমি বেদখল সহ জুম্ম জনগণকে ধ্বংসের চক্রান্ত চলতে থাকলে পার্বত্য জনগণ দুর্বার প্রতিরোধ সংগ্রাম করতে বাধ্য হবে।

সভা শেষে বিকালের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জুম্ম ফিল্ম সোসাইটি ও প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড যৌথভাবে এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
————–

সিএইচটিনিউজ.কম’র প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন দেখা দিলে যথাযথ সূত্র উল্লেখপূর্বক ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More