পিসিপি’র ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লাগানো ফেস্টুন-পোস্টার ছিঁড়ে দেয়ার অভিযোগ

0
পানছড়িতে পোস্টার ছিঁড়ে দিয়ে সেগুলো নিয়ে যাচ্ছে বিজিবি’র সদস্যরা।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ।। খাগড়াছড়ি সদর ও পানছড়িতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)-এর ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে লাগানো ফেস্টুন তুলে নেয়া ও হাতে লেখা পোস্টারগুলো ছিঁড়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পিসিপি’র কর্মী সমর্থরা খাগড়াছড়ি সদর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফেস্টুন টাঙায় ও পোস্টারিং করে। গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মে ২০২১) রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গাড়িযোগে গিয়ে খাগড়াছড়ি সদরের স্বর্নিভর,নারাঙহিয়ে, দক্ষিণ খবংপুজ্জে , পেরাছড়া, ধর্মপুর, কুকিছড়া এলাকায় টাঙানো ফেস্টুনগুলো খুলে ফেলে দেয় এবং খাগড়াছড়ি গেট এলাকায় লাগানো পোস্টারগুলো ছিঁড়ে দেয় খবর পাওয়া গেছে।

পিসিপি’র টাঙানো ফেস্টুনের একটি চিত্র।

অপরদিকে, আজ বুধবার (১৯ মে) বিকাল ৫টার দিকে জেলার পানছড়িতে বিজিবি’র সদস্যরা পুজগাং, আমতলী, বাবুরো পাড়া, মনিপুর, বরকলক এলাকায় লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে দেয় এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে টাঙানো ফেস্টুনগুলো তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পিসিপি’র টাঙানো ফেস্টুনগুলোতে লেখা ছিল ‘শত শহীদের রক্তবীজ থেকে জন্ম পিসিপি’র, আমরা তার গর্বিত সৈনিক’; ‘পিসিপি’র গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামের ৩২ বছর, সকল শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা’; ছাত্র সমাজের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে পিসিপির পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে সামিল হোন’.. ইত্যাদি শ্লোগান।

আর হাতে লেখা পোস্টারগুলোতে ‘পিসিপি’র শিক্ষা সংক্রান্ত ৫ দফা দ্রুত বাস্তবায়ন কর’; পাহাড় ও সমতলে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম গড়ে তুলুন’; ‘জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ছাত্র সমাজ ঐক্যবদ্ধ হোন’; কল্পনা চাকমার অপহরণকারী লে. ফেরদৌসের বিচার কর’; ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে আন্দোলনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত কর’… ইত্যাদি শ্লোগান লেখা ছিল।

পিসিপি’র হাতে লেখা পোস্টারের একটি চিত্র


সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More