পিসিপি’র ৩ যুগ পূর্তিতে চট্টগ্রামে ছাত্র সমাবেশ : পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল’ ঘোষণার দাবি

0

৮ মাস পেরিয়ে গেলেও ছেলে হত্যার বিচার পাইনি : সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত জুনান চাকমা’র মা

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের ৩ যুগ পূর্তিতে চট্টগ্রাম নগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ

মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫ 

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর ৩ যুগ পূর্তিতে চট্টগ্রামে আয়োজিত ছাত্র সমাবশে থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে “বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল” ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া সমাবেশ থেকে ‘চট্টগ্রামে জেল হেফাজতে লালত্লেং কিম বমকে হত্যা, খিয়াং নারীসহ পাহাড়ে অব্যাহত ধর্ষণ-খুন ও দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তোলা এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতিবন্ধক ছাত্রবেশী দালাল, শাসকগোষ্ঠীর লেজুড়, সুবিধাবাদী ও আপোষকামীদের হটিয়ে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের লড়াই জোরদার করার’ আহ্বান জানানো হয়।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে ২০২৫) সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম মহানগরের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এই ছাত্র সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ৭ শ’নেতা-কর্মী-সমর্থক অংশগ্রহণ করেন।

ছাত্র সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ। 

পিসিপি’র ৩ যুগ পূর্তির অনুষ্ঠান সাদা কবুতর উড়িয়ে যৌথভাবে উদ্বোধন করেন যথাক্রমে ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমলে নিহত শহীদ সুনীল ত্রিপুরা’র পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা, শহীদ তপন চাকমা’র আপন ছোট বোন তিথি চাকমা, শহীদ লিটন চাকমার ভাই সুজ্যোতি চাকমা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে সেনাবাহিনীর গুলিতে নিহত হওয়া শহীদ জুনান চাকমার মা রূপসী চাকমা ও রুবেল ত্রিপুরার মা নিরন্তা দেবী ত্রিপুরা।

সাদা কবুতর উড়িয়ে পিসিপির ৩ যুগ পূর্তি অনুষ্ঠান উদ্বোধন করছেন শহীদ পরিবারবর্গ।

উদ্বোধনের সময় পিসিপি’র দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াড। দলীয় সংগীতের সাথে দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন সভাপতি অমল ত্রিপুরা এবং জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন শহীদ সুনীল ত্রিপুরা’র পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা।

জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করছেন শহীদ সুনীল ত্রিপুরার পিতা সুকেন্দু ত্রিপুরা ও পিসিপি’র সভাপতি অমল ত্রিপুরা। 

পতাকা উত্তোলনের পর পর অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পিসিপি’র নেতৃবৃন্দ এবং শহীদ পরিবারবর্গ। শহীদদের স্মরণে সমাবেশে উপস্থিত ছাত্র-জনতা দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।

ছাত্র সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমল ত্রিপুরা।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ চাকমার সঞ্চালায সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, শহীদ পরিবারের পক্ষ থেকে শহীদ জুনান চাকমা’র মা রূপসী চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রিতা চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সহ-সাধারণ সম্পাদক রূপন মারমা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য রিপা মজুমদার, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্রনাথ বাপ্পি প্রমুখ। এছাড়াও সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিসিপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোনাল চাকমা।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ।

রোনাল চাকমা বলেন, আজ ২০শে মে পিসিপি প্রতিষ্ঠার ৩ যুগ পূর্ণ করল। পাহাড় পাঁচ দশক ধরে সেনা কারাগারে বন্দী এবং সেনা যাঁতাকলে পিষ্ট এ অঞ্চলের জুম্ম জনগণ। বান্দরবানে বমরা এখনো জেলে বন্দী রয়েছে। তথাকথিত ব্যাংক ডাকাতির অভিযোগ এনে যেভাবে সাধারণ বমদের উপর দমন-পীড়ন চলছে তা মানবাধিকার লঙ্ঘন। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর অনেক দাগী আসামী এবং ফ্যাস্টিস্ট আওয়ামী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী জেল থেকে খালাস পেয়েছে কিন্তু আটককৃত বম শিশু, নারী, বৃদ্ধ এবং যুবকরা মুক্তি পায়নি।

তিনি আরো বলেন, গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পাহাড়িদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হলেও পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা সমাধানের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

 সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে ছাত্রদের ঐক্যেবদ্ধ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে উল্লেখ করে রোনাল চাকমা বলেন, ঐক্যেবদ্ধ আন্দোলন পাহাড়িদের মুক্তির দিশা দিতে পারে। শাসকগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে দমন করার জন্য কৃত্রিম সংঘাত বাঁধিয়ে রেখেছে। সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আমাদের ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেত্রী রিপা মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন লড়াই সংগ্রামে মে আমরা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদকে পাশে পেয়েছি। পাহাড় ও সমতলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ এক বিশ্বস্ত সংগঠন। পাহাড়ের সমস্যাটা মূলত রাজনৈতিক। রাজনৈতিকভাবে সমাধান না করে পাহাড়ে সেনাশাসন জারি রেখেছে। একই সাথে পাহাড়িদের উপর দমন-পীড়ন ও তাদের ভূমি কেড়ে নিচ্ছে। আমরা পাহাড়ের সেনাশাসনের প্রত্যাহার চাই। আগামী লড়াই সংগ্রামে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ আরো বলীয়ান হবে। পাহাড় ও সমতলের সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর হবে- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড হাতে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ।

হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেত্রী রিতা চাকমা বলেন, বহু সহযোদ্ধার আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে পিসিপি গৌরবোজ্জ্বল ৩৬ বছর পূর্ণ করেছে। আপোষহীন লড়াই সংগ্রামে পিসিপি এখনো লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের নারীরা আজো নিরাপদ নই। মুক্ত বিহঙ্গের মতো তারা নিজ জন্মভূমিতে অবাধ চলাফেরা করতে পারছে না। হায়েনার দৃষ্টি সবসময় পাহাড়ি নারীদের উপর রয়েছে। গত কয়েকদিন আগে চিংমা খিয়াংকে গণধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু প্রশাসন থেকে দৃষ্টান্তমূলক কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রথীন্দ্রনাথ বাপ্পী বলেন, পাহাড়ের লড়াই সংগ্রাম করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছেন সেসব কমরেডদের স্মরণ করছি। এ রাষ্ট্র কখনো গণমানুষের হতে পারেনি। দেখুন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে উগ্র জাতীয়তাবাদ এনে পাহাড়ি মানুষের উপর দমন-পীড়ন চালিয়ে আসছে এদেশের শাসকগোষ্ঠী। পাহাড়ের কান্না এখনো শেষ হয়নি, এখনো থামেনি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে পিসিপির লড়াই সংগ্রাম আমরা দেখেছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনার ডামি নির্বাচন পাহাড়ি মানুষরা ঘৃণ্যভরে প্রত্যাখান করেছে, যা সমতলের মানুষরা করতে পারেনি।

তিনি আরো বলেন, আমরা দেখি পাহাড়ে সন্ত্রাস দমনের নাম দিয়ে সাধারণ পাহাড়ি জনগণের উপর দমন-পীড়ন করা হচ্ছে। তার অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে বান্দরবানের বম জনগোষ্ঠী। পাহাড়ের সংগ্রামকে রুদ্ধ করে দেওয়ার জন্য অনেক সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে।

যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা রূপন মারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম ছাত্র সমাজের একমাত্র প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন হল পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ। সংগঠনটির যাত্রা শুরু থেকে আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম জারি রেখেছে। ভূমি বেদখল থেকে শুরু করে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে পিসিপি লড়াই সংগ্রাম জোরদার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অবৈধ ১১ দফা বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখছেন দিলীপ রায়।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ রায় বলেন, পাহাড়িদের লড়াই সংগ্রামকে আমরা সমতল থেকে দেখি। আপনাদের (পিসিপি’র) লড়াই সংগ্রাম দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হই। আপনাদের লড়াই সংগ্রাম ও আত্মত্যাগকে আমরা সম্মান জানাই।

তিনি বলেন, গত ৯ মাস আগে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে। কিন্তু গণমানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ঘটেনি। গণঅভ্যুত্থান আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাইনি। গণঅভ্যুত্থানের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল শ্রমিক, কৃষক ও পাহাড়ি মানুষদের। অথচ গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথম আঘাত আসে শ্রমিক মেহনতী মানুষ ও পাহাড়িদের উপর।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সাথে ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামীলীগের কোন তফাৎ আমরা দেখতে পাচ্ছি না মন্তব্য করে দিলীপ রায় বলেন, পুরনো শাসন ব্যবস্থা এখনো বলবৎ রয়েছে। আপনারা বহুদিন ধরে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। লড়াই সংগ্রামের সহযোদ্ধা বিপুল চাকমা ও সুনীল ত্রিপুরা শহীদ হয়েছেন। পাহাড়ে সেনাশাসন উচ্ছেদ করতে হলে লড়াই সংগ্রামের বিকল্প নেই। পাহাড়ে স্বায়ত্তশাসন ছাড়া পাহাড়িদের মুক্তি নেই। তাই আপনাদের স্বায়ত্তশাসন আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন শহীদ জুনান চাকমার মা রূপসী চাকমা।

শহীদ জুনান চাকমার মা রূপসী চাকমা বলেন, আমার ছেলেকে গতবছর সেনাবাহিনী গুলি করে হত্যা করে। পাহাড়ে নারীদের ধর্ষণ এবং পাহাড়িদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে কারা বহিরাগত সেটলারদের সহযোগিতা করে তা পরিষ্কার। এ কারণে আমি তাদের ঘৃণা করি। আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই। কিন্তু ৮ মাস পার হয়ে গেলেও আমার ছেলের হত্যার বিচার পাইনি।

সভাপতি অমল ত্রিপুরা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে দশকের পর দশক ধরে যে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন তার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে, সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উত্থান ঘটেছে। প্রতিণ্ঠালগ্ন থেকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ পার্বত্য চট্টগ্রামে নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লক্ষে ধারাবাহিকভাবে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। পাহাড়-সমতলে সমস্ত রকমের অন্যায়-অবিচার, দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে আপোষহীনভাবে লড়াই-সংগ্রামে অবিচল রয়েছে। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এই লড়াই-সংগ্রাম চলমান থাকবে।

ছাত্র সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন পিসিপির সভাপতি অমল ত্রিপুরা। 

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ এক সংকটময় পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। যুগ যুগ ধরে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের যাঁতাকলে পিষ্ট হতে থাকা জনগণকে মুক্ত করতে হলে পাহাড়ে জনমানুষের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী। তাই আসুন, জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার্থে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি।

তিনি দালাল, সুবিধাবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল ও শাসকগোষ্ঠীর লেজুড়দের দৌরাত্ম্য রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্রবেশী দালালদের মুখোশ দিতে পিসিপি’র গৌরবোজ্জ্বল লড়াইকে উর্ধ্বে তুলে ধরে পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের পতাকাতলে সামিল হতে ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি পূর্ণস্বায়ত্তশাসনের দাবি মেনে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার মাধ্যমে প্রকৃত সমস্যা সমাধান করা, কারাগারে লালত্লেং কিম বমের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার এবং থানচিতে খেয়াং নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার এবং পাহাড় থেকে সেনাশাসন প্রত্যাহারের দাবি জানান। এছাড়া তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।


ছাত্র সমাবেশের পরবর্তীতে তুমুল বৃষ্টির মধ্যেও একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি চেরাগী পাহাড় মোড় থেকে আন্দরকিল্লা ঘুরে এসে প্রেস ক্লাবে এসে সমাপ্ত হয়।

র‌্যালিতে বিভিন্ন শাখা কমিটির প্রায় ৭ শ’ নেতা-কর্মী-সমর্থক পিসিপি’র বিভিন্ন দাবি দাওয়া সম্বলিত ফেস্টুন-প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।

পরে বিকাল ৩টা-৫টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে পিসিপি’র বর্তমান ও সাবেক নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক আলেচনাসভা ও পিসিপি’র লড়াই সংগ্রামের ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘প্রতিরোধ সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের’ সদস্যরা অংশ নেন।



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More