ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিরোধে সর্বত্র শ্রমজীবী জনগণের সংগঠন গড়ে তুলুন – বদরুদ্দীন উমর
ঢাকা প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউজ
শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ফ্যাসিবাদী শাসন, বাজারি শোষণ, লুন্ঠন দুর্নীতি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ঢাকায় সমাবেশ করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। আজ শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সভাপতি বদরুদ্দীন উমরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, সজীব রায়, মজিবর রহমান ও ভুলন ভৌমিক। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাঙলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ওয়ার্কার্স ফ্রন্টের সহ-সাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সৌরভ রায়, বাংলাদেশ জয়ভীম ছাত্র-যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত দাষ, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে বদরুদ্দীন উমর বলেন, আজকে বাংলাদেশের শাসক শ্রেণীর যে সংকট দেখা যাচ্ছে তার শুরু ১৯৭২ সাল থেকে। ঘুষ দুর্নীতি চোরাকারবারি লুন্ঠন দখলের মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে এই শাসক শ্রেণীর জন্ম ও বিকাশ। আওয়ামী লীগ এই শাসক শ্রেণীরই প্রতিনিধি। এরা দ্রুত জনগণের অধিকার কেড়ে নিতে ১৯৭৫ সালে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। ৪টি দৈনিক রেখে সকল সংবাদপত্র বাতিল করে। এইভাবে শাসক দল আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় এক ক্যুদেতা সংঘটিত হয়ে সরকার উৎখাত হয়। দেশে কায়েম হয় সামরিক শাসন।

বদরুদ্দীন উমর আরও বলেন, আজকে শাসক শ্রেণীর যে সংকট দেখা যাচ্ছে তেমনি জনগণের সংগঠনেরও সংকট রয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম বেগবান করতে হলে তাই শ্রমজীবী জনগণের সংগঠন গড়ে তুলতে হবে। সংগঠন ছাড়া ফ্যাসিবাদী শাসন মোকাবেলা করা যাবে না।
ফয়জুল হাকিম বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম গড়ে তুলতে শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানে পরিণত করা ছাড়া পরিস্থিতি পরিবর্তন করা যাবে না।

সজীব রায় বলেন, লুটেরা সন্ত্রাসী ব্যবসায়ী শ্রেণীর স্বার্থে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এদের স্বার্থেই দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন। ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম তাই এই লুটেরা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পরিচালিত করতে হবে।
ভুলন ভৌমিক বলেন, জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার সংগ্রাম গড়ে তুলতে ১৮ দফা কর্মসূচির ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।সমাবেশে ২৩ ফেব্রুয়ারী হতে ২৩ মার্চ মাসব্যাপী প্রচার ও জনসংযোগ কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

মজিবর রহমান বলেন, গ্রামের গরীবদের সংগঠিত করে ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগ্রাম বেগবান করায় গুরুত্ব দিতে বলেন।
সমাবেশ শেষে এক মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সিএইচটি নিউজে প্রকাশিত প্রচারিত কোন সংবাদ, তথ্য, ছবি ,ভিডিও, কনটেন্ট ব্যবহার করতে হলে কপিরাইট আইন অনুসরণ করে ব্যবহার করুন।
সিএইচটি নিউজের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন