বন্দুকভাঙার মারিচুকে সেনা ক্যাম্প নির্মাণের ষড়যন্ত্র ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে লংগদুতে বিক্ষোভ সমাবেশ

0


লংগদু প্রতিনিধি, সিএইচটি নিউ

সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫

রাঙামাটি সদর উপজেলার বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের মারিচুকে ভুমি বেদখল করে সেনা ক্যাম্প নির্মানের ষড়যন্ত্র, সেনাবাহিনী কর্তৃক যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের ১৫০টি সুপারি গাছ জোরপূর্ব্বক কেটে দেয়া ও ধুতাঙ্গ মোন অরণ্য কুটিরের নামে মিথ্যা প্রচার চালানোর প্রতিবাদে লংগদুতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি ২০২৫) সকালে লংগদু উপজেলায় রাধামন বাজারে যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্র ও ধুতাঙ্গ মোন অরণ্য কুটিরের দায়ক-দায়িকারা এ সমাবেশের আয়োজন করেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য একনিষ্ঠ দায়ক মধুলাল চাকমা, পরিচালনা কমিটির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রুপক চাকমা ,কাট্টলি নীলচন্দ্র ধর্মশক্তি বনবিহারের সাধারণ সম্পাদক উত্তম চাকমা।

মধুলাল চাকমা বলেন, যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের যে সুপারি গাছগুলো সেনাবাহিনী কেটে দিয়েছে সেগুলি অনেক পরিশ্রম ও পরিচর্চা করে বড় করা হয়েছে। এতে আমি নিজেই শারিরিকভাবে পরিশ্রম করেছি। এই গাছগুলি কেটে দেয়ায় খুবই মর্মাহত হয়েছি। সেনাবাহিনী এটি একটি জঘন্য কাজ করেছে। আমরা চুপ থাকলে এ ধরনের হীন কাজ তারা আরও করবে। তাই আর বসে থাকা নয়। প্রতিবাদ করতে হবে।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের একাংশ।

রুপক চাকমা বলেন, আমি যমচুগ বনাশ্রম ভাবনা কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছি। সুপারি গাছগুলো কাটার বিষয়ে সেনাবাহিনী আমাদের সাথে কোন আলোচনা করেনি। আমিও মধুলাল চাকমার বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করছি।

উত্তম চাকমা বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটছে আমি লোকের মাধ্যমে ও মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। আইএসপিআরের বিবৃতিটা পড়েছি। এটা জঘন্য মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। মনে হচ্ছে এখানে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। বৌদ্ধ ধর্ম শান্তির ধর্ম। এখানে অশান্তির কোন স্থান নেই। তাই এ ধর্মকে ব্যবহার করে অশান্তি সৃষ্টির কোন দৃষ্টান্ত বিশ্বে নেই।

তিনি আরো বলেন, মিথ্যাচারের জন্য আইএসপিআরের মুখোশ উন্মোচন করে দিতে হবে। তাদের  এ ধরনের বিবৃতির আগে প্রতিষ্ঠানের সংশিষ্টদের সাথে আলোচনা করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করে তারা কুটিরকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে বিবৃতি দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এটা ধর্মীয় অবমাননা ছাড়া কিছুই নয়। এ বিষয়ে আইএসপিআরের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের আর চুপ থাকলে হবে না, প্রতিবাদ করতে হবে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ন্যায়সঙ্গত। আমরা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রতিবাদ করবো। 



This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. AcceptRead More